ঈদের আগের দিন বাংলাদেশ থেকে আসা এক ধর্মীয় নেতা, সশস্ত্র কয়েক জন যুবকের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিল শাহনুর আলম ওরফে ডাক্তার। এমনই জানিয়েছেন বরপেটার চতলা গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, ওই দিন শাহনুরদের ছবি তুলতে দামী গাড়ি নিয়ে গ্রামে এসেছিলেন বোরখা পরিহিত এক মহিলাও।
পুলিশ সূত্রের খবর, হেদায়েতুল্লাহ নামে বাংলাদেশি মৌলবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল শাহনুরের। সর্থেবাড়ি এবং নলবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় শাহনুর কয়েকটি সভাও করে। জুলাই মাসে ঈদের আগের দিন শাহনুর ও তার ভাই জাকারিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চতলায় আসে ৬০-৭০ জন সশস্ত্র যুবক। গোপন সেই বৈঠকের ছবি তুলতে এসেছিলেন বোরখার আড়ালে থাকা এক মহিলা। সেখানে হাজির ছিলেন হেদায়েতুল্লাহও।
জিহাদের সঙ্গে শাহনুরের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠছে, এত জন সশস্ত্র বহিরাগত কী কারণে চতলা গ্রামে এসেছিল? কোথা থেকে এসেছিল তারা? অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলা শাহনুরদের বৈঠকের ভিডিও তুললেন কেন? তার পর কোথায় গা ঢাকা দিলেন হেদায়েতুল্লাহ? গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন, বর্ধমানে মাদ্রাসায় থাকাকালীন চেনিমারির বাসিন্দা সুসেনা ওরফে সজিনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ হয় শাহনুরের। পরে দু’জনের বিয়ে হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সজিনার মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জিহাদিদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শাহনুরের। তার খবর দিলে ৫ লক্ষ টাকার ইনাম ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। কিন্তু সজিনার নাম এনআইএ-র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নেই। শাহনুরের ভাই জাকারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জালুকবাড়ি পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর একটি গাড়ি চুরির ঘটনাতেও শাহনুরের নাম জড়িয়েছিল। তখন পুলিশ চতলা গ্রামে হানা দিলেও, তাকে পাওয়া যায়নি। এ দিকে, কামাখ্যা মন্দির ও অসম সচিবালয়ে জিহাদিরা হামলার ছক কষছে বলে মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। আজ তিনি বলেন, “ওই সব জায়গার নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হচ্ছে।”