বাংলাদেশের ব্যাঙ্কে নেই সারদার টাকা, দাবি অর্থমন্ত্রীর

সারদা কেলেঙ্কারির টাকা জঙ্গিদের হাতে পোঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কোনও ব্যাঙ্ককে ব্যবহার করা হয়নি বলে জানালেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। শনিবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মুহিত। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কোনও ব্যাঙ্কে সারদার টাকা গচ্ছিত করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫৪
Share:

সারদা কেলেঙ্কারির টাকা জঙ্গিদের হাতে পোঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কোনও ব্যাঙ্ককে ব্যবহার করা হয়নি বলে জানালেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। শনিবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মুহিত।

Advertisement

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কোনও ব্যাঙ্কে সারদার টাকা গচ্ছিত করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।”

জেলবন্দি তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ সিবিআই ও ইডি-র কাছে অভিযোগ করেছিলেন, আহমেদ হাসান ইমরানের মাধ্যমে সারদার কোটি কোটি টাকা অ্যাম্বুল্যান্সে করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে মৌলবাদী জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কুণাল সারদার মিডিয়া শাখার প্রধান ছিলেন। স্বভাবতই তাঁর অভিযোগটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার দাবিও করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সূত্র।

Advertisement

ইমরান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমি-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বর্তমানে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সদস্য। বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির নেতাদের সঙ্গেও তাঁর দহরম মহরম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠানো সারদার টাকা বাংলাদেশের কোনও ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা হয়েছে, এমন কথা কুণাল বলেননি। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী জানালেন, তেমন কোনও প্রমাণও মেলেনি।

নভেম্বর মাসের শেষ দিনে কলকাতার সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ অভিযোগ করেছিলেন, সারদার টাকা বাংলাদেশের জঙ্গিদের হাতে গিয়েছিল, যারা খাগড়াগড় বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছিলেন, সারদার টাকা বাংলাদেশের জঙ্গিদের হাতে যাওয়ার কোনও প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে এখনও আসেনি। তবে এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। সে তদন্ত অবশ্য এখনও শেষ হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন