মিড-ডে মিলের বাধা স্থানাভাবও: শিক্ষামন্ত্রী

রাজ্যে মিড-ডে মিল প্রকল্পের চিত্রটা ঠিক কী, তা জানতে স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা সমীক্ষা চালাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভার বাইরে এ কথা জানান। তাঁর বক্তব্য, মূলত স্থানাভাবে সর্বত্র মিড-ডে মিল চালু করা যাচ্ছে না। তবে স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর, অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের বিরোধের জেরেও এই প্রকল্প আটকে আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪৯
Share:

রাজ্যে মিড-ডে মিল প্রকল্পের চিত্রটা ঠিক কী, তা জানতে স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা সমীক্ষা চালাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভার বাইরে এ কথা জানান। তাঁর বক্তব্য, মূলত স্থানাভাবে সর্বত্র মিড-ডে মিল চালু করা যাচ্ছে না। তবে স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর, অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের বিরোধের জেরেও এই প্রকল্প আটকে আছে।

Advertisement

এ দিন বিধানসভায় অতিরিক্ত প্রশ্ন হিসেবে শিক্ষামন্ত্রীর কছে জানতে চাওয়া হয়, ২০১১-র জুন থেকে এখনও পর্যন্ত মিড-ডে মিল প্রকল্পের আওতায় থাকা স্কুলের সংখ্যা ঠিক কী হারে বেড়েছে?

মন্ত্রী জানান, ৯৯.৯৭ শতাংশ প্রাথমিক এবং ৯৯.৮৬ শতাংশ উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে এই প্রকল্প চালু আছে। সরকার যত শীঘ্র সম্ভব সব স্কুলকেই এর আওতায় আনতে চায়।

Advertisement

স্কুলে দুপুরের খাবার হিসেবে যা দেওয়া হয়, তা ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য বলে বিভিন্ন শিবিরের অভিযোগ। এ দিন বিধানসভায় মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, মিড-ডে মিল প্রকল্পে পড়ুয়া-পিছু বরাদ্দ ঠিক কত?

পার্থবাবু জানান, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই বরাদ্দ তিন টাকা ৬৯ পয়সা এবং ১০০ গ্রাম চাল। আর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ পাঁচ টাকা ৩৮ পয়সা এবং ১৫০ গ্রাম চাল। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই বরাদ্দ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তা যে যথেষ্ট নয়, সেটাও মেনে নেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “যেটুকু টাকা বা চাল বরাদ্দ করা হয়, তা সুষ্ঠু ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেটা দেখে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

কী ভাবে দেখা হবে?

বিধানসভার বাইরে পার্থবাবু জানান, রাজ্য সরকার জানতে চায়, স্কুলগুলিতে এই প্রকল্পের হাল ঠিক কী। তাই জেলা স্তরে এই প্রকল্প নিয়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পেলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে রাজ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন