মদন-কাণ্ড নয় ভোটার তালিকায়, দাবি কমিশনে

একই ব্যক্তি অথচ একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম! ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়ে এ বার এমন ঘটনা বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাল সবক’টি বিরোধী দল। কমিশন যাতে সতর্ক হয়ে কাজ করে, সেই দাবিতে ভিন্ন মত নয় শাসক দলও। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধনের (নতুন নাম তোলা এবং পুরনো সংশোধন) কাজ চলবে এ রাজ্যে। বাৎসরিক এই প্রক্রিয়ার পরে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী বছর ৫ জানুয়ারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৩০
Share:

একই ব্যক্তি অথচ একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম! ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়ে এ বার এমন ঘটনা বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাল সবক’টি বিরোধী দল। কমিশন যাতে সতর্ক হয়ে কাজ করে, সেই দাবিতে ভিন্ন মত নয় শাসক দলও।

Advertisement

আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধনের (নতুন নাম তোলা এবং পুরনো সংশোধন) কাজ চলবে এ রাজ্যে। বাৎসরিক এই প্রক্রিয়ার পরে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী বছর ৫ জানুয়ারি। অর্থাৎ জানুয়ারিতে ১৭টি পুরসভার ভোটের ঠিক আগে। ভোটার তালিকা সংশোধনের ওই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) সুনীল গুপ্ত। সেখানেই রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্রের উদাহরণ দিয়ে দু’জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থেকে যাওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। সুনীলবাবু তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, কমিশনের সফ্টওয়্যারে কিছু সমস্যা হয়েছিল। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সতর্ক থাকবে কমিশন।

ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদনবাবুর নাম দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় আছে বলে আগেই নথি দেখিয়ে অভিযোগ করেছিল সিপিএম। এ বার সিইও-র কাছে সর্বদল বৈঠকেও সিপিএমের দুই প্রতিনিধি সুজন চক্রবর্তী ও সুখেন্দু পানিগ্রাহী বিষয়টি তুলেছিলেন। কংগ্রেসের দেবব্রত বসু, বিজেপি-র অসীম সরকার, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত রায়, আরএসপি-র সুকুমার ঘোষেরাও এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় সচিব তাপস রায়। তিনিও কমিশনের তরফে সতর্কতার পক্ষেই মত দেন। তার পরেই সুনীলবাবু আশ্বাস দেন, কমিশন সতর্ক থাকবে। পাশাপাশিই তাঁর আবেদন, রাজনৈতিক দলগুলিও যেন এমন কোনও অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের নজরে আনে।

Advertisement

সুজনবাবু মঙ্গলবার বলেন, “অভিযোগ তো আমরা করেইছি। বিশেষ ফল পাইনি! আশা করব, এর পরে কমিশন সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা নেবে।” তাপসবাবুও এ দিন বলেছেন, “ভারতবর্ষের কোনও নাগরিকেরই একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকার কথা নয়। কোথাও এমন কিছু হয়ে থাকলে তা দেখার কথা কমিশনেরই।”

পাশাপাশিই, ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়ে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-সহ কমিশনের টিম খুব আগ্রহী হয়ে কাজ করে না বলে মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়, এমন অভিযোগও করেছে বিরোধীরা। যার প্রেক্ষিতে তাপসবাবু আবার এ দিন বলেছেন, “এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে। ওই টিমের লোকজন কোন আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন, সেটাও দেখা দরকার!” তাপসবাবুর দাবি, শিক্ষক-সহ যে সব কর্মীরা তালিকা সংশোধনের কাজ করে থাকেন, তাদের বেশির ভাগেরই নিয়োগ হয়েছিল বাম আমলে। এখানে বর্তমান শাসক দলের বিশেষ ভূমিকাই নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন