তিলজলার যুবক রিজওয়ানুর রহমানের অপমৃত্যুর ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আইপিএস অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংহের নাম। সেই জ্ঞানবন্তকে বুধবার আইজি-পদে উন্নীত করল রাজ্য সরকার। ২০০৭ সালে রিজওয়ানুরের রহস্য-মৃত্যুর সময় জ্ঞানবন্ত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সদর)। আর পদোন্নতির পরে এ দিন তাঁকে রাজ্য পুলিশের নিয়োগ পর্ষদের সদস্য-সচিবের পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রিজ কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার জ্ঞানবন্ত-সহ পাঁচ পুলিশ অফিসারকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। তার পরে জ্ঞানবন্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছিল। জ্ঞানবন্ত-সহ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে সেই সময় জোরদার আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যারা এখন ক্ষমতায়।
বিভাগীয় তদন্তের মুখে পড়ায় জ্ঞানবন্তের এসপি থেকে ডিআইজি পদমর্যাদায় উন্নীত হওয়ার ব্যাপারটা দীর্ঘদিন আটকে ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে চলা বিভাগীয় তদন্তের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং জ্ঞানবন্তের বিরুদ্ধে চলা বিভাগীয় তদন্তে যবনিকা টেনে দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁকে ডিআইজি করা হয়।
এ দিনই আইজি-পদে উন্নীত করা হয়েছে এক সময় ‘কম্পালসারি ওয়েটিং’ বা বাধ্যতামূলক প্রতীক্ষায় থাকা আইপিএস অফিসার কে জয়রামনকে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক প্রধান থাকার সময় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আইএএস অফিসার গোদালা কিরণকুমারকে গ্রেফতার করেন শিলিগুড়ির তৎকালীন সিপি জয়রামন। তার পরেই তিনি রাজ্য সরকারের রোষের মুখে পড়েন। তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়। পরে তিনি ডিআইজি হন। এ দিন তাঁকে আইজি পদমর্যাদায় উন্নীত করে রাজ্য পুলিশের আধুনিকীকরণ ও কম্পিউটার শাখার স্পেশ্যাল আইজি হিসেবে নিয়োগ করেছে সরকার।
সুপ্রতিম সরকারকে এ দিন কলকাতা পুলিশের বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের পদে উন্নীত করা হয়েছে। এসিপি দেবাশিস রায়কে বদলি করা হয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অতিরিক্ত ডিজি-র পদে। দীর্ঘদিন কলকাতা পুলিশে থাকার পরে বিশেষ পুলিশ কমিশনার-১ সুধীর মিশ্রকে এ দিন রাজ্য পুলিশ কম্পিউটার সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।