অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ফের রাস্তায় নামলেও রাজনীতি থেকে দূরেই থাকতে চান প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘১০ বছর আগে আমি রাজনীতি ছেড়েছিলাম। কারণ, ব্যক্তি স্বার্থে যে অশুভ রাজনীতি চলছে, তার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। আমি রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছি। রাজনীতি আর করছি না।’’
প্রায় এক দশক প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরে পঙ্কজবাবু রবিবার টালিগঞ্জে আবাসনের জমি হস্তান্তর বিরোধী একটি স্থানীয় আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন পঙ্কজবাবু নিজেই। তবে রবিবার ওই আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন, তেমনই হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের কাউকে পুলিশ দিয়ে বা অন্য ভাবে হেনস্থা করলে টালিগঞ্জের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে তিনি সভা করবেন।
ওই দিন দুপুরেই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠদের একাংশ আকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে বক্তা-তালিকায় পঙ্কজবাবুর নাম ছিল। কিন্তু তিনি সেই আলোচনা সভায় যাননি। বলা হয়েছিল, অসুস্থ বোধ করায় পঙ্কজবাবু আসতে পারেননি। কিন্তু প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কই এ দিন তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘কালকের আলোচনা সভা নিয়ে আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং এক জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার আমাকে বলেছিলেন, ওটা অরাজনৈতিক সভা। অরাজনৈতিক এক সংগঠন করছে। কিন্তু সংবাদপত্রে বক্তা তালিকা দেখে মনে হল, এটা রাজনীতির ব্যাপার। তাই যাইনি।’’ ওই সভায় বাম ও কংগ্রেস নেতারা তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে জোট-রাজনীতির পক্ষে সওয়াল করেন। রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়াতে চান না বলেই সেখান থেকে দূরত্ব রেখেছেন বলে পঙ্কজবাবু জানাচ্ছেন।