চালু রুট সম্প্রসারণ করা হয়েছে দু’বছর। কিন্তু তা খাতায় কলমে। কারণ, প্রান্তিক স্ট্যান্ডে বাস দাঁড়াচ্ছে না। এই অভিযোগ, হাওড়া ময়দান-সখেরবাজার মিনিবাস রুট নিয়ে।
পরিবহণ দফতরের নির্দিষ্ট করা জায়গায় একটি বাসও মেলে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। চালকের খুশিমতো বাস দাঁড় করানোয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের দাবি, এই নিয়ে কয়েক বার বাসচালকদের কাছে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি, পরিবহণ দফতরের কর্তাদেরও জানানো হয়েছিল।
দফতর সূত্রের খবর, কয়েক বছর ধরে হাওড়া-সখেরবাজার রুটের মিনিবাস চলছে। যাত্রীদের দাবি মেনে এই রুটটি সম্প্রসারিত করা হয় বেহালার বড়িশা কদমতলা পর্যন্ত। অথচ দফতরের নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কদমতলার থেকে বেশ কিছুটা আগে শীলপাড়াতেই নতুন বাসস্ট্যান্ড গজিয়েছে। ফলে বাস দাঁড়িয়ে যাচ্ছে বড়িশার আগেই।
সমস্যা বাসভাড়া নিয়েও। বাসমালিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেই ভাড়ার তালিকা বানিয়েছে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। সেখানে বড়িশা পর্যন্ত ভাড়ার কথা উল্লেখ থাকলেও বাস বড়িশা যায় না। বর্তমানে গন্তব্য শীলপাড়া অলিখিত ভাবে প্রান্তিক হওয়া সত্ত্বেও বড়িশা পর্যন্ত নির্ধারিত বাসভাড়াই গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, বড়িশা ও শীলপাড়ার দূরত্ব বেশ খানিকটা। ভাড়া দেওয়া সত্ত্বেও নির্ধারিত জায়গার আগেই কেন নামবেন যাত্রীরা? এ ছাড়াও শীলপাড়াতে অলিখিত বাসস্ট্যান্ড হওয়ায় সেখানেও সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।
অন্য দিকে, শীলপাড়ায় বাস টার্মিনাসের জন্য বরাদ্দ কোনও জায়গা নেই। সেখানে অবৈধ ভাবে গাড়ি দাঁড়ানোয় অন্য গাড়ি এবং পথচারীদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। বছর দুই আগে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাওড়া-সখেরবাজার মিনিবাসের রুট বাড়িয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর।
এক বাস কন্ডাক্টরের যুক্তি, শীলপাড়া থেকেই বেশি যাত্রী ওঠেন। তাই বড়িশা পর্যন্ত যাওয়া হয় না। তা ছাড়া পায়ে হেঁটে আসার পক্ষে এই দূরত্ব এমন কিছু নয়। রুটের বাসমালিকরা জানান, শীলপাড়ার অনেক আগেই বড়িশা। ফলে একই ভাড়ায় যাত্রীরা বরং বেশি পথ যেতে পারছেন। যদিও বাসিন্দারা জানান, বেহালা চৌরাস্তা থেকে আসতে (পরিবহণ দফতরের নির্দেশিত রুট) শীলপাড়ার অনেক পরেই বড়িশা।
এই প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব। দফতরের নির্দেশিত রুট ছাড়া কোনও বাস চলতে পারে না। তেমন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’