রেশনে নামের তালিকা নিয়ে ক্ষোভ

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে বিভিন্ন রেশন ডিলারদের কাছে ওই প্রকল্পে তালিকাভুক্তদের যে নামের তালিকা হয়েছে, তা নিয়ে সমস্যা আছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির একাংশে। সোমবার উত্তরকন্যায় ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার এই সমস্যা মেটাতে জেলা খাদ্য নিয়ামকদের নিয়ে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুর এলাকার রেশন ডিলার এবং জেলা খাদ্য নিয়ামকদের নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে বৈঠক হওয়ার কথা। বিধানসভা ভোটের মুখে এমন সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও। তিনি ইতিমধ্যে খাদ্য মন্ত্রীর সঙ্গে দুই দফায় কথাও বলেছেন বলে জানান। দ্রুত সমস্যা মেটাতে খাদ্য দফতর তৎপর বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:৫১
Share:

উত্তরকন্যায় খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে বৈঠকে মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে বিভিন্ন রেশন ডিলারদের কাছে ওই প্রকল্পে তালিকাভুক্তদের যে নামের তালিকা হয়েছে, তা নিয়ে সমস্যা আছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির একাংশে।

Advertisement

সোমবার উত্তরকন্যায় ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার এই সমস্যা মেটাতে জেলা খাদ্য নিয়ামকদের নিয়ে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুর এলাকার রেশন ডিলার এবং জেলা খাদ্য নিয়ামকদের নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে বৈঠক হওয়ার কথা। বিধানসভা ভোটের মুখে এমন সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও। তিনি ইতিমধ্যে খাদ্য মন্ত্রীর সঙ্গে দুই দফায় কথাও বলেছেন বলে জানান। দ্রুত সমস্যা মেটাতে খাদ্য দফতর তৎপর বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ দিন বৈঠকে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং শিলিগুড়ি পুরসভার অধীনে থাকা ১৪ টি সংযোজিত ওয়ার্ডের মধ্যে কেবল তৃণমূল কাউন্সিলরদের ডাকা হলেও বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের বা জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়নি। তাঁরা সমস্যা নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।’’ ওই বৈঠকে পুর এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল, রঞ্জন সরকারদেরও থাকতে দেখা গিয়েছে। শিলিগুড়ি মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কেউ দেখা করতে গেলে তো বৈঠকে থাকার কথা নয়। তবে বিরোধী দলের কাউন্সিলরদের কেন ডাকা হল না তা খোঁজ নেবেন।

Advertisement

এ দিন মন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরসভার যে ১৪টি ওয়ার্ড জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে পড়ে সেখানে ১ লক্ষ ৫০৭১ জন জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে উপভোক্তা হিসাবে নথিভুক্ত হবেন। কিন্তু যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে ১০ হাজার ৯০৭ জনের নাম নেই। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকাতেও ৭৭২৩ জনের নাম আসেনি। কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। তা খাদ্য দফতর দেখছে। সকলেই যাতে এর আওতায় আসেন তা দেখা হচ্ছে।’’

বিষয়টি নিয়ে অবশ্য সরব হয়েছেন বিরোধী বামেরা। উত্তরকন্যা লাগোয়া একটি রেশন দোকানে তারা পোস্টার দিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন ওই সমস্ত নাম বাদ হল। সকলের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছে তারা। এমনকী রতন বর্মন, মহম্মদ মহিরুলদের মতো যে সমস্ত বাসিন্দাদের যাদের নাম বাদ পড়েছে তাঁরাও উদ্বিগ্ন। কামরাঙাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাদি বলেন, ‘‘আমার রেশন কার্ড দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছে। কিন্তু তালিকাতে নাম আসেনি। তাই চিন্তায় রয়েছি।’’ রেশন ডিলারদের একাংশ জানান, আগে তাদের অনেকের দোকান থেকে যত জন রেশন পেতেন নতুন তালিকায় তাদের ক্ষেত্রে গ্রাহক কমেছে। তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অনেকে। বাসিন্দারাও জানতে চাইছেন। কিন্তু তাঁদের কিছু স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

জেলা খাদ্য নিয়মকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে দার্জিলিং জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ টি ওয়ার্ডে ১ লক্ষ ৩৮১৯ জনের নাম থাকার কথা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। কেউ যাতে খাদ্য সুরক্ষা থেকে বাদ না পড়ে, সে জন্য এনএফএসএ প্রকল্পের অধীনে যারা তালিকাভুক্ত হননি এমন কেউ থাকলে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় ৮ হাজার ৩৭১ জন রয়েছেন। পুরসভার সংযোজিত এলাকায় ১২০০৭ জনের মতো রয়েছেন। দার্জিলিং জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ টি ওয়ার্ডে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় রয়েছে ৪৫ হাজার ৩৬৮ জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন