শালিমারে ফের আশ্বাস মন্ত্রীর, আজ বৈঠকে রাজ্য

সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারেও কারখানা খোলার আশ্বাস দেওয়া হল। এ দিন শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের এক মন্ত্রী সেই আশ্বাস দিয়ে এলেন। তবু তেমন আশা দেখছেন না হাওড়ার রং কারখানা শালিমারের শ্রমিকেরা। ওই কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ, বুধবার ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে রাজ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৬
Share:

সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারেও কারখানা খোলার আশ্বাস দেওয়া হল। এ দিন শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের এক মন্ত্রী সেই আশ্বাস দিয়ে এলেন। তবু তেমন আশা দেখছেন না হাওড়ার রং কারখানা শালিমারের শ্রমিকেরা।

Advertisement

ওই কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ, বুধবার ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে রাজ্য। কিন্তু কারখানা খোলার জন্য যে-তৎপরতা থাকার কথা, মালিক বা রাজ্য কোনও তরফেই তা দেখা যাচ্ছে না। তবে চলতি মাসের বকেয়া ১৫ দিনের বেতন এ দিন মিটিয়ে দিয়েছেন কারখানা-কর্তৃপক্ষ।

গত ১৬ জুলাই কারখানা বন্ধের নোটিসের সঙ্গেই এ মাসের ১৫ দিনের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে সেটা আদৌ পাওয়া যাবে কি না, সংশয় ছিল শ্রমিকদের মধ্যে। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শ্রমিকদের কাছে নোটিস পাঠিয়ে কর্তৃপক্ষ জানান, বেলা সাড়ে ৩টের মধ্যে টাকা দেওয়া হবে। পুলিশবাহিনী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে কারখানার গেটে আসেন কয়েক জন কর্তা। তাঁরা পুলিশি পাহারায় ভিতরে ঢোকার কিছু ক্ষণের মধ্যেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দেওয়ার কাজ শুরু হয়।

Advertisement

বিকেল ৫টা নাগাদ কারখানার গেটের সামনে রংকল বাজারে যান কৃষি ও বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, “কারখানা সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে ৬০ কোটি টাকা নেই, এটা বিশ্বাস করি না।”

শালিমার বন্ধ হওয়ার পরের দিনই শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের নেতৃত্বে কারখানা-কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক দফা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কারখানা-কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আগুনে তাঁদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি সামলে ফের কারখানা চালু করার জন্য যে-টাকা প্রয়োজন, তা কোম্পানির নেই। তা ছাড়া গত বছর কোম্পানির অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। তাই কারখানা খোলা সম্ভব নয়। সে-দিনই ঠিক হয়, ২৩ জুলাই ফের বৈঠক হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন