শালবনিতে বাম বিক্ষোভ

জিন্দলদের ইস্পাত প্রকল্প স্থগিত হওয়া যাওয়ায় প্রথমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। এ বার আসরে নামল বামেরাও। সোমবার বিজেপি-র বিক্ষোভের পরে মঙ্গলবার শালবনিতে প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের যুব সংগঠন। স্লোগান ওঠে, ‘কারখানা চালু করতে হবে। না হলে আন্দোলন চলবে।’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৪
Share:

শালবনিতে ডিওয়াইএফ-এর বিক্ষোভ

জিন্দলদের ইস্পাত প্রকল্প স্থগিত হওয়া যাওয়ায় প্রথমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। এ বার আসরে নামল বামেরাও। সোমবার বিজেপি-র বিক্ষোভের পরে মঙ্গলবার শালবনিতে প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের যুব সংগঠন। স্লোগান ওঠে, ‘কারখানা চালু করতে হবে। না হলে আন্দোলন চলবে।’

Advertisement

ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউয়ের অভিযোগ, “কর্মসংস্থান ও জেলা তথা রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে বামফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে এমন একটি বৃহৎ প্রকল্প এসেছিল। বর্তমানে রাজ্যের ভ্রান্ত শিল্পনীতি ও কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার কারণে কাজ স্থগিত হয়ে গেল! আমাদের দাবি, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে কারখানা চালুর ব্যবস্থা করুক।”

ইতিমধ্যে আন্দোলনের কথা জানিয়েছে কারখানার জন্য জমিদাতাদের সংগঠন ‘জেএসডব্লিউ ল্যান্ড লুজার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ও। বিজেপিও লাগাতার আন্দোলনের কথা জানিয়েছে। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “শনিবার থেকে কারখানা খোলার দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্নায় বসব।” কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে আজ, বুধবার জেলা নেতৃত্ব দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও তুষারবাবু জানিয়েছেন।

Advertisement

শালবনির কারখানার গেটে পোস্টার ডিওয়াইএফ-এর। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

গত রবিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে জিন্দল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দল আপাতত কারখানার কাজ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। স্বভাবতই হতাশ শালবনির মানুষ। যাঁরা চাকরির আশায় সাত বছর ধরে বসেছিলেন, তাঁরা আর চুপ করে বসে থাকতে নারাজ। বৃহস্পতিবার থেকে কারখানার গেটের সামনে লাগাতর অবস্থানে বসার কথা ঘোষণা করেছেন জমিদাতা সংগঠনের সম্পাদক পরিষ্কার মাহাতো। সোমবার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। মঙ্গলবার ফের জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এলাকায় যান। পরে কারখানার সামনে হাজির হন ডিওয়াইএফের জেলা নেতৃত্ব। প্রথমে মিছিল করার কথা ঘোষণা করলেও পুলিশি অনুমতি না থাকায় প্রথমে ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর ফের কারখানার সামনে এসে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরিণাম। আকরিক লোহা ও কয়লার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে কেন্দ্র সরকারই। বিধায়ক মৃগেন মাইতির কথায়, “এখনই হতাশ হওয়ার মতো কিছু নেই। কর্তৃপক্ষ কারখানা চালুর জন্য চেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন