শহরে অমিত শাহ, থাকবেন চৌরঙ্গির প্রচারসভাতেও

আগামী বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের তখ্ত দখলের কৌশল ঠিক করতে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। লোকসভা ভোটে তাঁরই পরিচালনায় গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এ বার এ রাজ্যের শাসনক্ষমতা পেতে তাঁর অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চায় তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০১
Share:

কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসছেন অমিত শাহ। - নিজস্ব চিত্র

আগামী বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের তখ্ত দখলের কৌশল ঠিক করতে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। লোকসভা ভোটে তাঁরই পরিচালনায় গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এ বার এ রাজ্যের শাসনক্ষমতা পেতে তাঁর অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চায় তারা।

Advertisement

সভাপতি হওয়ার পর এ দিনই প্রথম কলকাতা সফরে এলেন অমিত। বিমানবন্দরে দলীয় কর্মীরা তাঁকে অভ্যর্থনা করেন। এ দিন রাতে বিজেপি-র রাজ্য পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত। দলীয় সূত্রে খবর, ওই সভায় ‘উত্তরপ্রদেশ মডেল’ অনুসরণ করার কথা বলেছেন বিজেপি সভাপতি। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের সময়ে উত্তরপ্রদেশে যে কৌশল মেনে বিপুল জয় পেয়েছেন তা-ই এ বার পশ্চিমবঙ্গেও প্রয়োগ করতে চান অমিত। দলে উজ্জ্বল ভাবমূর্তির মানুষ আনার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। পুরভোট ও বিধানসভা ভোটের জন্য রাজ্য বিজেপি-তে একটি কমিটি গড়তে চান অমিত। আজ, রবিবার সেই কমিটি গড়া হতে পারে।

মধ্য কলকাতায় বিজেপি-র সদর দফতর লাগোয়া মাহেশ্বরী সদনে এ দিনই দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। রবিবার সেই বৈঠকে সমাপ্তি বক্তৃতা করবেন অমিত। উপনির্বাচনের আবহে তাঁকে শহরে পেয়ে সেখানেও তাঁকে ব্যবহার করে নিচ্ছে বিজেপি। চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী রীতেশ তিওয়ারির সমর্থনে আজ বৌবাজারে সভা করবেন অমিত। উপনির্বাচনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার দাবি জানাতে কাল, সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করবেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এবং সাংসদ মুখতার আব্বাস নকভি।

Advertisement

অমিত শহরে আসার আগেই অবশ্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ‘মিশন ২০১৬’-র রূপরেখা তৈরি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিন দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন রামলাল কর্মীদের সাফ বলে দিয়েছেন, ২০১৬-য় পশ্চিমবঙ্গে সরকার দখল করতেই হবে। তার জন্য ১৫০টির বেশি আসন পাওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখন থেকেই। রামলালের নির্দেশ প্রতি বুথে ন্যূনতম ১০০ জন প্রাথমিক সদস্য জোগাড় করতে হবে। একটা কমিটি গড়ে তার পক্ষ থেকে ১৫ দিন অন্তর বুথ পরিদর্শন করতে হবে। বাড়াতে হবে জনসংযোগ। এই কাজে অনেক বাধা আসতে পারে। কিন্তু সে সব অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যেতে হবে। রামলালের কথায়, “কংগ্রেস মানেই দুর্নীতি। নরেন্দ্র মোদীজি কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেছেন। এ রাজ্যে যারা ক্ষমতায় আছে, সেই তৃণমূলের নামেও কংগ্রেস আছে। এটা দুর্নীতিগ্রস্ত, লুঠেরাদের সরকার। এদের সরাতে হবে।” ওই বৈঠকে আরএসএস নেতা শিব প্রকাশ, বিজেপি সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ প্রমুখ ছিলেন। রামলাল জানান, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থেকেই তিনি শিব প্রকাশকে ওই বৈঠকে এনেছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, ২০১৬-র কথা মাথায় রেখে এ রাজ্যে দলের সংগঠন বিস্তারে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শিব প্রকাশকে। রাহুলবাবু জানান, ক্ষমতায় এলে তাঁদের রাজ্য পরিচালনার রূপরেখা কী হবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের বিদ্বজ্জন শাখাকে। দলের শিক্ষানীতি, স্বাস্থ্যনীতি প্রভৃতির খসড়া তৈরি করছে ওই শাখা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement