সুন্দরবনে স্বজনহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস কান্তির

সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া সাত মৎস্যজীবীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে পাথরপ্রতিমার জি-ব্লকে গেলেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। স্থানীয় ইন্দ্রপুর বাজারে একটি সভাও করেন তিনি। মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে দলের তরফে নগদ টাকা, শীত বস্ত্র, চাল-ডাল দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৪
Share:

প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন এক মহিলা। সোমবার পাথরপ্রতিমায়। ছবি: দিলীপ নস্কর

সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া সাত মৎস্যজীবীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে পাথরপ্রতিমার জি-ব্লকে গেলেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। স্থানীয় ইন্দ্রপুর বাজারে একটি সভাও করেন তিনি। মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে দলের তরফে নগদ টাকা, শীত বস্ত্র, চাল-ডাল দেওয়া হয়।

Advertisement

সিপিএমের পক্ষ থেকে এ দিন রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল জি-প্লকের ইন্দ্রপুর বাজারে। সেখানে ১৩১ বাসিন্দা ও মৎস্যজীবী রক্তদান করেন। এই রক্ত এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে সিপিএম সূত্রে খবর। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানান কান্তিবাবু।

১২ ডিসেম্বর পাথরপ্রতিমার সমুদ্রে ট্রলার উল্টে যায়। তিন জনকে অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবী উদ্ধার করলেও কয়েক জন তলিয়ে যান। ৪ জনের দেহ উদ্ধার হয় পরে। ৩ জন এখনও নিখোঁজ। ওই মৎস্যজীবীরা সকলেই জি-ব্লকের দক্ষিণ সীতারামপুরের বাসিন্দা ছিলেন। এ দিন তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা কান্তিবাবুর কাছে দাবি জানান, সরকার যেন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে। কান্তিবাবু তাঁদের বলেন, “পরিজনহারা মানুষের পাশে থেকে যতটা পারি সাহায্য করব। শাসক দলেরও উচিত, এ বিষয়ে কোনও রাজনীতি না করে ওই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানো।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement