সেবি কর্তারাও টাকা নিতেন, দাবি পিয়ালির

শুধু রাজনৈতিক নেতারা নন, সেবি কর্তারাও সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন বলে ইডির তদন্তকারীদের জেরার মুখে দাবি করেছেন পিয়ালি সেন। ইডি সূত্রের খবর, বাম আমলে রাজ্যের অর্থ সংক্রান্ত অপরাধ দমন শাখার প্রধান নারায়ণ ঘোষ সারদা-সহ ছ’টি অর্থলগ্নি সংস্থা সম্পর্কে সেবির কাছে অভিযোগ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:১১
Share:

শুধু রাজনৈতিক নেতারা নন, সেবি কর্তারাও সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন বলে ইডির তদন্তকারীদের জেরার মুখে দাবি করেছেন পিয়ালি সেন।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, বাম আমলে রাজ্যের অর্থ সংক্রান্ত অপরাধ দমন শাখার প্রধান নারায়ণ ঘোষ সারদা-সহ ছ’টি অর্থলগ্নি সংস্থা সম্পর্কে সেবির কাছে অভিযোগ করেন। তিনি লেখেন, এই সংস্থাগুলি কোনও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না-করেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো আইন রাজ্যের হাতে নেই। তাই সেবিকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছিলেন অর্থ অপরাধ সংক্রান্ত শাখার প্রধান।

কিন্তু ঘটনা হল, সারদার বিরুদ্ধে সেবি কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। উল্টে এই অভিযোগ জানানোর পরে সারদা-সহ অন্য সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্ত হয়। ফলে সুদীপ্তর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেবির কোনও কোনও কর্তা তদন্ত ধামাচাপা দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন ইডির একাধিক তদন্তকারী। সেবি কর্তাদের সঙ্গে সুদীপ্তর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কলকাতার একটি নামী ফুটবল ক্লাবের কর্তার নাম উঠে এসেছে বলে জানাচ্ছে ইডি সূত্র।

Advertisement

পিয়ালিকে জেরা করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের লকারে রাখা বেশ কিছু সোনার গয়না ও নথিপত্রের হদিশ ইডি কর্তারা পেয়েছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুদীপ্তর স্ত্রী-পুত্রকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ইডির অফিসারেরা পিয়ালিকে নিয়ে সল্টলেকের সিজে ব্লকের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তল্লাশিতে যান। ওই ব্যাঙ্কে পিয়ালির নামে একটি লকার আছে। সেখানেই গয়নার হদিস মেলে।

এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। তদন্তকারীদের আরও দাবি, আরও কয়েকটি ব্যাঙ্কে পিয়ালির সোনার গয়না গচ্ছিত আছে। সেই লকারগুলির হদিস পেতে তাঁকে আরও জেরা করা হবে।

সারদা কর্তার স্ত্রী-পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলেও তদন্তকারীদের একাংশ জানান। তবে সেই সব তথ্য যাচাই করার আগে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডি জানায়, ওই দু’জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা সরানো হয়েছে।

সারদার উধাও হওয়া টাকার হদিস করতে নেমে সারদা কর্তার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খোঁজ চালানোর পাশাপাশি অন্যত্রও কী ভাবে সারদার টাকা ব্যবহার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন