সারদা গোষ্ঠীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সংস্থা মেটাল স্ক্র্যাপ ট্রেডিং কর্পোরেশন (এমএসটিসি)-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সম্পত্তি নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। মঙ্গলবার কমিশন সূত্রে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
কমিশন চায়, সারদা-সম্পত্তি বিক্রির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হোক। এ ব্যাপারে চুক্তির পরেও এমএসটিসি-র সঙ্গে বার কয়েক যোগাযোগ করা হয়েছে। এ দিন কমিশনের সামনে হাজির হয়ে সুদীপ্ত তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার আর্জি জানান।
এ দিন কমিশনে হাজির হওয়ার কথা ছিল অসমের এক সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠীর দুই কর্ণধার মাতঙ্গ সিংহ ও মনোরঞ্জনা সিংহের। সুদীপ্ত কমিশনে বলেছিলেন, ওই দু’জনকে তিনি যথাক্রমে ২৮ কোটি এবং ২৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তা যাচাই করার জন্যই ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের কমিশনে তলব করা হয়। কমিশন সূত্রের খবর, মাতঙ্গ শারীরিক কারণে হাজির থাকতে পারবেন না বলে আগাম জানালেও মনোরঞ্জনা তখন কিছুই জানাননি। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামলবাবু জানান, মাতঙ্গ এ দিনও আসতে পারবেন না বলে জানান। কিন্তু মনোরঞ্জনা কোনও খবর দেননি। এতে কমিশন অসন্তুষ্ট।
শ্যামলবাবু বলেন, “২৬ মার্চ ফের তাঁকে (মনোরঞ্জনাকে) কমিশনের সামনে হাজির হতে বলা হচ্ছে।” এ বারেও তিনি গরহাজির হলে কী ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন? শ্যামলবাবু বলেন, “সমন জারি হতে পারে। আবার তাঁর বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেন যে-পিটিশন জমা দিয়েছেন, সেটাও মেনে নিতে পারে কমিশন।”
‘এখন সময়’ চ্যানেলের এক দল কর্মী এ দিন কমিশনে হাজির হন। ইতিমধ্যেই কমিশনে তাঁরা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে তাঁরা বেতন পাননি। সুদীপ্ত ওই চ্যানেলটি কিনেছিলেন। শ্যামলবাবু জানান, সুদীপ্ত কমিশনে জানিয়েছেন, এখন সময়ের সম্পত্তি বেচে ওই কর্মীদের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। সেই মোতাবেক ওই কর্মীদের ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বেতন মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।