সদস্যে রেকর্ড গড়ার দাওয়াই অনুরাগের

এ বছরের পুরভোট এবং আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে জয়ের স্বপ্ন সফল করতে তেড়েফুঁড়ে সদস্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দলের সাংসদ তথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরও সোমবার কলকাতায় এসে একই দাওয়াই দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে হাজরা মোড়ে এ দিন বিজেপি-র দক্ষিণ কলকাতা যুব মোর্চার ডাকে সমাবেশ হয়। সেখানে অনুরাগের বার্তা বাংলা উন্নয়ন চাইছে। দুর্নীতিমুক্ত হতে চাইছে। বাংলার যুব সম্প্রদায় সহায় হলে বিজেপি ওই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:০০
Share:

এ বছরের পুরভোট এবং আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে জয়ের স্বপ্ন সফল করতে তেড়েফুঁড়ে সদস্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দলের সাংসদ তথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরও সোমবার কলকাতায় এসে একই দাওয়াই দিলেন।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে হাজরা মোড়ে এ দিন বিজেপি-র দক্ষিণ কলকাতা যুব মোর্চার ডাকে সমাবেশ হয়। সেখানে অনুরাগের বার্তা বাংলা উন্নয়ন চাইছে। দুর্নীতিমুক্ত হতে চাইছে। বাংলার যুব সম্প্রদায় সহায় হলে বিজেপি ওই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। নরেন্দ্র মোদী বা মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংহ চৌহানের মতো নেতা এ রাজ্যে প্রয়োজন। একমাত্র বিজেপি-ই সেই পথপ্রদর্শক উপহার দিতে পারে রাজ্যকে।

অনুরাগের কথায়, “তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কলকাতার ভোটে গুন্ডাগিরি করবেন। তার মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সদস্য বাড়াতে হবে। আপনারা বিজেপি-র সদস্যসংখ্যা বাড়ান। পুর এলাকা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যে বিজেপি-কে ছড়িয়ে দিন।”

Advertisement

অনুরাগ দলের সদস্য সংগ্রহে এ রাজ্যে রেকর্ড গড়ার নির্দেশ দেন। পরে অনুরাগের উপস্থিতিতে রাজ্য যুব মোর্চার বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতার বিধানসভাপিছু এবং রাজ্যের বাকি অংশে ব্লকপিছু কলেজ, কোচিং সেন্টার এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করে রাজ্য নেতৃত্বকে দেওয়া হবে। মার্চ মাসে তিন দিন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সামনে সদস্য সংগ্রহ করবে যুব মোর্চা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অমিতাভ রায় জানান, কাল, বুধবার মোর্চার জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বের বৈঠকে সদস্য সংগ্রহের রিপোর্ট পেশ হবে। বইমেলায় দলীয় মুখপত্রের স্টলে ১০০০ জন বিজেপি সদস্য হয়েছেন।

সারদা কেলেঙ্কারি এবং খাগড়াগড় বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূলকে নিয়মিতই তীব্র আক্রমণ করছে বিজেপি। এ দিন অনুরাগও সে পথেই হেঁটে বলেন, “কোনও হাঙ্গামা বাধানোর জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এত কাছে সভা করতে আসিনি। উনি জনতার মুখ্যমন্ত্রী। তাই জনতাকে তাঁর দুর্নীতির কথা জানাতে এসেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন