International News

লন্ডনে বহুতল ভস্মীভূত, মৃত ১২, ভিতরে বহু দেহ, আশঙ্কা প্রশাসনের

পশ্চিম লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে আচমকা আগুন লেগে যায় ২৪ তলার আবাসন গ্রেনফেল টাওয়ারে। আবাসিকরা তখন ছিলেন গভীর ঘুমে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ে ২৪ তলার গোটা আবাসনে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ১৮:৩৯
Share:

দাউদাউ আগুনে পুড়ে যাচ্ছে গ্রেনফেল টাওয়ার।

ভয়াবহ আগুনে ছাই হয়ে গেল একটি ২৪ তলার আবাসন। পশ্চিম লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে। মৃতের সংখ্যা আপাতত ১২। পুলিশ জানাচ্ছে, সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। ৮০ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার গভীর রাতের ঘটনা।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পশ্চিম লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে আচমকা আগুন লেগে যায় ২৪ তলার আবাসন গ্রেনফেল টাওয়ারে। আবাসিকরা তখন ছিলেন গভীর ঘুমে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ে ২৪ তলার গোটা আবাসনে। আগুনে আটকে পড়া আবাসনের বাসিন্দারা আর্ত চিৎকার করতে থাকেন, প্রতিবেশীদের কাছে কাতর আর্জি জানাতে থাকেন তাঁদের বাঁচানোর জন্য। কেউ কেউ দূর থেকে ওই আবাসনের আগুন দেখে ভেবেছিলেন, মোবাইল ফোনের আলো জ্বলছে। অথবা টর্চের। পরে তাঁদের ভুল ভাঙে। প্রাণে বাঁচতে জানলার কাঁচ ভেঙে শিশুসন্তানদের নিয়ে আবাসিকদের মাটিতে ঝাঁপ দিতে দেখা যায়।

কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছুটে যায় একের পর এক দমকল। দমকল-কর্মীরা ওই ভয়ঙ্কর আগুনের মধ্যে থেকে অনেককে বের করে আনতে পারলেও, লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের আশঙ্কা, এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন ওই বহুতল আবাসনে। প্রায় ভস্মীভূত ওই আবাসনটির ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন- পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য: চমকে দিয়ে মন্তব্য চিনা মুখপত্রের

লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশের কম্যান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেছেন, ‘‘ওই অগ্নিকাণ্ডে যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত। তবে আগামী কয়েক দিনে ওই বাড়ির ধ্বংসস্তুপ সরালে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত ভাবেই আরও বাড়বে। মৃতদেহ শনাক্ত করতে অসুবিধা হচ্ছে। কাউকেই চেনা যাচ্ছে না। দেহগুলি গলে গিয়েছে।’’

আবাসন থেকে লাফিয়ে পড়ে বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আবাসিক পল মুনাকর। বলছিলেন, ‘‘বাড়ি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে নীচে দাঁড়ানো মানুষজন আমাকে ঝাঁপ মারতে বারণ করছিলেন। কিন্তু ওঁদের কথা শুনলে আমি আর বেঁচে থাকতে পারতাম না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন