কবরে ২৮ হিন্দুর দেহ, দাবি মায়ানমার সেনার

সেনাবাহিনীর তরফে রবিবার জানানো হয়ে, রাখাইন প্রদেশের ইয়ে বও কেয়া গ্রামে ওই গণকবর থেকে মহিলা-সহ ২৮ জন হিন্দুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহিলার সংখ্যাই বেশি। সেনার দাবি, এই কাজের পিছনে হাত রয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গিদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইয়াঙ্গন শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫৫
Share:

এমনিতেই জাতি-বিদ্বেষে বিধ্বস্ত মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। এর মধ্যে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে হিন্দুদের গণকবর মেলার খবরে। সেনাবাহিনীর তরফে রবিবার জানানো হয়ে, রাখাইন প্রদেশের ইয়ে বও কেয়া গ্রামে ওই গণকবর থেকে মহিলা-সহ ২৮ জন হিন্দুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহিলার সংখ্যাই বেশি। সেনার দাবি, এই কাজের পিছনে হাত রয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গিদের।

Advertisement

হিংসা শুরুর পর থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মতোই হাজার হাজার হিন্দুও রাখাইন প্রদেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ওই প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে এত দিন হিন্দু-মুসলিমের বাস ছিল পাশাপাশি। কিন্তু এখন ছবিটা বদলেছে। হিন্দুদের অভিযোগ, সেনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা জঙ্গিদের আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছেন তাঁরাও।

তবে সংবাদ সংস্থা বলছে, হিন্দুদের কবর নিয়ে মায়ানমার সেনাবাহিনীর এই দাবি কতটা যথার্থ, তা আলাদা করে যাচাই করার কোনও রাস্তা নেই। কারণ মায়ানমারের ভিতরে এখন প্রবেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত।

Advertisement

সেনাপ্রধানের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘‘নিরাপত্তা কর্মীরা কবর খুঁড়ে ২৮ জন হিন্দুর দেহ উদ্ধার করেছেন। তাঁদের ভয়ঙ্কর ভাবে হত্যা করেছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)।’’ অগস্টে পুলিশ ও সেনার উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল আরসা জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই। সেনা জানিয়েছে, কবরে ছিল ২০ জন মহিলা এবং আট জন পুরুষের দেহ। দশ বছরের কমবয়সি ছয় শিশুর দেহও মিলেছে আর একটি কবর থেকে।

সেনা সূত্রে খবর, ইয়ে বও কেয়া গ্রামে একটি জায়গা থেকে পচা গন্ধ পেয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। তার পর সরকারের তথ্য কমিটি দু’টি বড় গর্তের কাছে ঘাসে শোয়ানো পর পর মৃতদেহের ছবি প্রকাশ করে। সেই ছবি নিয়েও সংশয় রয়েছে। হিন্দু মহিলাদের রোহিঙ্গা জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল বলে মনে করছেন
মায়ানমার সেনা অফিসাররা। উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমরাই সংখ্যাগুরু। তবে বৌদ্ধ, হিন্দু এবং মুসলিম— সব সম্প্রদায়েরই মানুষ রয়েছেন। কিন্তু এই অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটলেও এত বড় সংঘর্ষ আগে ঘটেনি। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্য করতে চেয়ে সে দেশে যাচ্ছেন ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের নেতারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন