মাত্র চার ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে লেগে গেল ৩০ ঘণ্টা।
সোমবার বেলা ২টো নাগাদ ডোমিনিকান রিপাবলিকের পুন্তা কানা থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। বিভ্রাট শুরু তার পরেই। নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে যখন বিমানটি পৌঁছয় তখন আবহাওয়া খারাপ। ওই অবস্থায় রানওয়েতে নামার অনুমতি মিলল না কিছুতেই। আকাশে চক্কর কাটতে কাটতে জ্বালানিও শেষপ্রায়। মিনিট দশেক উড়িয়ে বিমানটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যাঞ্চেস্টারে। সেখানে অবতরণ করে বিমানটি। কিন্তু ছোট্ট সেই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান নামার মতো বন্দোবস্ত নেই। ফলে যাত্রীদের পড়তে হয় চরম অব্যবস্থার মধ্যে।
বিমান থেকে নেমে যাত্রীরা দেখেন রাতে থাকার মতো কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বিমানবন্দরের তরফে। ডেল্টার তরফে যাত্রীদের ই-মেল করে ক্ষমা চাওয়া হয়। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয় ওই ই-মেলে। পর দিন বিমান সংস্থায় ফোন করে যাত্রীরা জানতে পারেন, বেলা ১১টা নাগাদ উড়বে বিমান। সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছন তাঁরা।
ওড়ে বিমান। যখন জেএফকে বিমানবন্দরে নামার অনুমতি চায় তখন হাওয়া বইছে ৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে। ঝাঁকুনিতে যাত্রীরা সিটবেল্ট বেঁধে বসে থাকতে পারছেন না। অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন।
এ বারেও জেএফকে-তে নামতে না পেরে বিমানটি উড়ে যায় বস্টনে। বেলা প্রায় তিনটে নাগাদ বস্টনে পৌঁছনোর পরে শুরু হয় আর এক সমস্যা। সেখানে যাত্রীদের টার্মিনালে নামতে দিতে অস্বীকার করেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানচালকের বহু অনুরোধের পরে অবশেষে রাজি হন তাঁরা। লরেন কারাসেকের কথায়, ‘‘ক্ষিপ্ত যাত্রীরা তখন রীতিমতো বিমানের বন্ধ দরজা পেটাচ্ছেন। পারলে ভেঙে বেরিয়ে যান আর কী! হয়তো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা কথা ভাবছিলেন। কিন্তু যাত্রীরাও আর ধৈর্য ধরতে পারছিলেন না।’’
বস্টনে নেমে অনেকেই তৃতীয় বার আর ওই বিমানে চেপে নিউ ইয়র্কে ফেরার ঝুঁকি নেননি। ট্রেনের টিকিট কেটে নেন অনেকেই। ৯০ জনকে নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ নিউ ইয়র্ক নামে বিমানটি।