নিখোঁজদের হদিশ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ।
বাংলাদেশের পর এ বার পাকিস্তানেও।
ধর্মবিরোধী তকমা দিয়ে ঢাকার রাস্তায় খুন করা হয়েছিল মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। তার পর দু’বছরে আরও এক ঝাঁক। তাঁদের কেউ প্রকাশক, অধ্যাপক, কেউ স্বাধীনচেতা মানবাধিকার কর্মী। একই অসহিষ্ণুতার নজির এ বার পাকিস্তানেও। পাঁচ দিনে নিখোঁজ অন্তত চার। বুধবার থেকে খোঁজ নেই ওয়াকাস গোরায়া ও ওয়াসিম সইদের। বাকি দু’জনকে সলমন হায়দার ও আহমেদ রাজা নামে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
পরিবারের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ লেখালেখির দায়ে গুম করা হয়েছে চার জনকে। আদৌ তাঁরা বেঁচে রয়েছেন কি না, জল্পনা চলছে। শুক্রবার থেকে নিখোঁজ সলমন হায়দার দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রের ব্লগার। বালুচিস্তানে পাক-প্রশাসনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে লিখেছেন তিনি। এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবু আশঙ্কা কাটছে না। পাকিস্তানের কট্টর ধর্মীয় নীতির বিরুদ্ধেও মুখ খোলার ‘অপরাধে’ মাস সাতেক আগেই করাচিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান মানবাধিকার কর্মী তথা প্রাক্তন সাংবাদিক খুররম জাকি। সলমনদের নিখোঁজ-রহস্য নিয়ে তাই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়ার বড় অংশ। খুররম-খুনে তালিবানের দিকে আঙুল তুলেছিল ইসলামাবাদ। হায়দারদের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পাক-প্রশাসনকে দুষছেন একাংশ। যেমন, রাজা রুমি। প্রাণের দায়ে ২০১৪ থেকে দেশছাড়া এই মানবাধিকার কর্মীর কথায়, ‘‘টিভির পর এ বার ডিজিটাল দুনিয়াতেও নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে সরকার।’’