এই বিশালাকার শিঙাড়াই নাম তুলেছে গিনেস বুকে।
রান্নাঘরের বিশালাকার পাত্রে রাখা তিন কোণা খাদ্য বস্তুটি। খাস্তা, মুচমুচে। ডুবো তেলে ভাজা। মুখে দিলে পাতলা ময়দার আস্তরণ সরে গিয়ে বেরিয়ে পড়ছে ঝাল ঝাল আলু-মটরশুটি-পেঁয়াজ-মশলার নিখুঁত মিশ্রণ। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। আপনার প্রিয় সান্ধ্যকালীন ঝাল, নোনতা স্ন্যাক্সটির কথাই হচ্ছে। কিন্তু এ শিঙাড়া, যে সে শিঙাড়া নয়। এক মুঠোতে ধরবে না। এক বা দু’কামড়ে এটি শেষ করাও কার্যত অসম্ভব। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিঙাড়ার পালকটি জুটেছে এরই কপালে। এখানেই শেষ নয়। নাম উঠেছে গিনেস বুকেও। আর আকারে আয়তনে? প্রাপ্ত বয়স্ক একটি বাঘিনীর কাছাকাছি। ১৫৩ কেজি!
আরও পড়ুন: লিঙ্গ পরিবর্তন করাতে গিয়ে প্রেম, বিয়ে এবং সন্তানের অপেক্ষায় ২ রূপান্তরকামী
সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের মসজিদে ‘মুসলিম এইড’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বানানো হয়েছে এই বিশালাকার শিঙাড়া। ১২জন কর্মী নিযুক্ত ছিলেন এই মেগা শিঙাড়া বানানোর কাজে।
স্বেচ্ছাসেবী ওই সংগঠনের কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই স্বাদ ও আকার যথাযথ রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর আগে ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ড কলেজ ২০১২ সালের জুন মাসে ১১০.৮ কেজির একটি শিঙাড়া তৈরি করেছিল। তবে এত বড় শিঙাড়া এই প্রথম।
আরও পড়ুন: কেন আপনার ফোনে আপডেট করা যাবে না অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সন, দেখে নিন
গোটা প্রোজেক্টটির আয়োজক ফরিদ ইসলাম সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, টিমের সকলেই খুবই উত্তেজিত ছিল। আকার এবং স্বাদের নিরিখে বেশ কয়েকটি পরীক্ষাতেও পাশ করতে হয়েছে এই শিঙাড়াকে। সমস্ত কিছু যথাযথ হওয়ার পরেই গিনেস বুকে ঠাঁই হয়েছে তিন কোণা সুস্বাদু এই স্ন্যাক্সের।