বিশ্বের সবচেয়ে হাইস্পিড গাড়িগুলিকে আমরা ছুটতে দেখি ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ট্র্যাকে। চোখের নিমেষে গ্যালারির এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পেরিয়ে যায় গাড়িগুলি। সঙ্গে গুরুগম্ভীর বোঁ বোঁ আওয়াজ। দেখতে দারুন লাগে! তেমনই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট বা ডিসকভারি চ্যানেলের দৌলতে বিশ্বের দ্রুততম প্রাণী চিতার অসাধারণ দৌড়ও আমরা দেখেছি। আচ্ছা, ফর্মুলা ই-কার আর চিতার রেস হলে কে জিতবে বলে মনে হয়! এক সঙ্গে দৌড় শুরু করলে ১ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ফিনিশ লাইনে কে আগে পৌঁছবে? উত্তরটা ভেবে উঠতে পারছেন না তো! দেখুন তা হলে...
উপরের ভিডিওয় গতিতে শেষমেশ হার মানতে হয়েছে চিতাকে। তবে বাস্তবে ফর্মুলা ই (ইলেক্ট্রিক) গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ২২৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা আর চিতার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার। অর্থাত্, গাড়ির গতি চিতার সর্বোচ্চ গতির দ্বিগুণ। ভাবছেন তাহলে এমন একটা অসম প্রতিযোগিতার মানে কী!
আরও পড়ুন: পাঁচ বছর ধরে জন্মদিনে মৃত বাবার শুভেচ্ছা চিঠি পান মেয়ে!
বাঘ বেরিয়ে পড়ল খাঁচা থেকে, তার পর... দেখুন ভিডিও
আসলে দূষণের কারণে পৃথিবীর অনেক পশু-পাখিই এখন লুপ্ত। দূষণের জন্যই পরিবেশে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে যা প্রাণীকূলের জন্য মোটেই ভাল খবর নয়। গোটা পৃথিবীতে সর্বসাকুল্যে আর মাত্র ৬ হাজার ৭০০টি চিতা রয়েছে। তাই দূষণের হাত থেকে পরিবেশ এবং প্রাণীজগতকে বাঁচাতে ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ট্র্যাকে এ বার দেখা যাবে দূষণমুক্ত ফর্মুলার ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলিকে। প্রচারমূলক এই ভিডিওয় ফর্মুলা ই-কারের স্টিয়ারিং হাতে দেখা গিয়েছে জুলাই-এর মন্ট্রিয়েল ই প্রি’র চ্যাম্পিয়ন জন এরিক ভার্গনেকে। গতির জন্যই বিখ্যাত ফর্মুলা ওয়ান রেস, একই কারণে চিতাও। তাই বিশ্বের দ্রুততম প্রাণী চিতাকে সঙ্গে নিয়েই পরিবেশ রক্ষার প্রচারে নামল ফর্মুলা ওয়ান।