International news

১১ জনকে বিয়ে করে প্রচুর টাকা নিয়ে চম্পট এই তরুণী

বাস্তবেও এ বার খোঁজ মিলল তেমনই এক ‘ডলি’। যিনি এক, দুই নয়, একেবারে ১১ জনকে বিয়ে করে তাঁদের লুট করে গায়েব হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:৫৮
Share:

জারিয়াপর্ন নামন বুয়াই। তাঁর ফেসবুক থেকে পাওয়া ছবি।

ঠিক যেন বাস্তবের ‘ডলি কি ডোলি’। বছর দু’য়েক আগে এই হিট সিনেমায় ডলি রূপী সোনম কপূরের ‘কাজ’ই ছিল বিয়ে করা এবং ফুলশয্যার রাতেই ‘স্বামী’র সর্বস্ব লুট করে গায়েব হয়ে যাওয়া। বাস্তবেও এ বার খোঁজ মিলল তেমনই এক ‘ডলি’। যিনি এক, দুই নয়, একেবারে ১১ জনকে বিয়ে করে তাঁদের লুট করে গায়েব হয়েছেন। আর এ ‘কাজ’ করতে তরুণীকে সাহায্য করেছেন তাঁর আসল স্বামী! ১১তম ঘটনাটির পর পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ওই দম্পতি।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডে। প্রতারিত হয়ে এবং টাকা খুইয়ে একে একে ওই ১১ স্বামীই পুলিশের দ্বারস্থ হন। আলাদা আলাদা অভিযোগে তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে কোনও একটি বা দু’টি নয়, ১১ জনকে একই ভাবে বোকা বানিয়েছেন তরুণী। ফেসবুক অনুযায়ী যাঁর নাম জারিয়াপর্ন নামন বুয়াই। বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধরা পড়েন তাঁর আসল স্বামী থিতিরাট নঙ্ঘাপিটকও।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গেই এই সমস্ত কাণ্ডের ছক কষতেন তিনি। তাঁদের কাছ থেকে ৯০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ত্রস্ত ফ্লোরিডায় কাল ইরমা-হানা

তাইল্যান্ড পুলিশ সূত্রে খবর, ফেসবুকের মাধ্যমেই তাঁদের টার্গেট বেছে নিত ওই প্রতারক দম্পত্তি। প্রথমে অচেনা কোনও যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করতেন ওই তরুণী। মাস গড়াতে না গড়াতেই প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। ফাঁদে পা দিলেই আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হতেন ওই তরুণী। ঠিক যেমন হয়েছিল প্রাসার্ন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। প্রাসার্নের সঙ্গে একটি রিসর্টে দেখা করেন ওই তরুণী। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক কয়েক মাস পর প্রাসার্নকে ওই তরুণী জানান যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বিয়েতে রাজিও হয়ে যান প্রাসার্ন। বিয়ের জন্য ওই তরুণীকে ৬ হাজার ডলার পণ দেন প্রাসার্ন। বিয়ের সময় কণেকে পণ দেওয়াটাই রীতি তাইল্যান্ডের। প্রাসার্নের অভিযোগ, বিয়ের দু’দিন পর তরুণী জানান, তিনি পারিবারিক ব্যবসায় সাহায্যের জন্য নিজের গ্রামে যেতে চান। তারপর আর ফেরেননি।

ঠিক এই ভাবেই বাকি যুবকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, বিয়ে এবং তার কয়েক দিনের মধ্যে অন্য কোনও অজুহাতে বিয়েতে দেওয়া পণ নিয়ে ফের বেপাত্তা। এই ভাবে গত দু’বছরে মোট ১১ জনকে ঠকিয়েছেন তিনি। কারও থেকে ৬ হাজার ডলার পণ নেন তো কারও থেকে ৩০ হাজার ডলার। ওই ১১ জন ছাড়াও ওই তরুণী আর কাউকে প্রতারণা করেছেন কি না তা খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন