Afghanistan

‘আইএস জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান’, অভিযোগ আফগান রাজনীতিকের

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:০৩
Share:

আমরুল্লা সালেহ। —ফাইল চিত্র।

আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানের সাহায্যে চেয়েছে মার্কিন সরকার। কিন্তু পাক আশ্রিত এবং পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিদের জন্য দেশের স্থিতিশীলতাই নষ্ট হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে আফগান সরকার। সন্ত্রাসে মদত জোগানো নিয়ে এ বার পাকিস্তানকে একহাত নিলেন সে দেশের প্রাক্তন গুপ্তচর প্রধান তথা প্রাক্তন অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আমরুল্লা সালেহ। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার পাশাপাশি আইএস জঙ্গিদেরও পাকিস্তান অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে দাবি তাঁর।

Advertisement

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারতে চলেছেন আশরফ গনি। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন আমরুল্লা সালেহ। তার আগে সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘তালিবানই অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলিকে জায়গা করে দিয়েছিল। এই মুহূর্তে তালিবান দমনই প্রধান লক্ষ্য আমাদের। তার পর বাকি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তবে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন আইএস জঙ্গিকে বন্দি করেছে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী। পাকিস্তান থেকে আর্থিক সাহায্য এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে তারা। ’’

আমরুল্লা আরও জানান, ‘‘আইএস জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজরদারিতেও পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ধরা পড়েছে। খোরাসানে আইএস-এর যে শাখা রয়েছে, সড়কপথে পাকিস্তানে যাতায়াতও আছে তাদের।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সংঘাতে প্রথমে পরমাণু অস্ত্র নয়, মন্তব্য ইমরান খানের​

এর আগে আফগান বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা রুখতে গত কয়েক বছর ধরে আফগান সীমান্তে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে পাক সরকার। কিন্তু কাশ্মীর পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে হতে পারে তাদের। সে ক্ষেত্রে আফগান সীমান্তে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক সেনা সরিয়ে নিতে হবে। তাতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

আরও পড়ুন: চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করতে কি ভোট এগিয়ে আনবেন বরিস​

তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে আফগানিস্তান। পাকিস্তানকে বেপরোয়া, অবিবেচক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করে তারা। আফগান সরকার জানায়, ‘‘আফগানিস্তান কখনওই পাকিস্তানের পক্ষে বিপজ্জনক নয়। বরং ঠিক উল্টোটাই ঘটছে। পাক আশ্রিত এবং পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিদের জন্য আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতাই নষ্ট হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন