Pakistan

সন্ত্রাসবাদ দমনে চেষ্টার ত্রুটি নেই, আর্থিক হুঁশিয়ারির মুখে বললেন পাক সেনাপ্রধান

লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এ দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বাজওয়া বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের সব দেশেরই শত্রু। তাই সকলেরই উচিত এক সঙ্গে এগিয়ে আসা। সন্ত্রাসবাদ দমনে পরস্পরকে সহযোগিতা করা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ১৭:৪৫
Share:

পাক সেনাপ্রধান কমর বাজওয়া। ফাইল চিত্র।

চাপে পড়েই সুর বদল করল পাকিস্তান। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর চরম হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর বাজওয়া দাবি করলেন, দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদকে সর্বতোভাবে উপড়ে ফেলতে চেষ্টার কোনও কসুর রাখছেন না তাঁরা। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন তাঁরা।

Advertisement

শনিবার এফএটিএফ হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ইসলামাবাদকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এ দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বাজওয়া বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের সব দেশেরই শত্রু। তাই সকলেরই উচিত এক সঙ্গে এগিয়ে আসা। সন্ত্রাসবাদ দমনে পরস্পরকে সহযোগিতা করা। শুধু অন্য দেশ নয়, পাকিস্তানও কিন্তু সন্ত্রাসবাদের শিকার। অতীতে বার বার পাকিস্তানের উপর আঘাত হেনেছে সন্ত্রাসবাদ। তাই পাকিস্তানও চায় না ভবিষ্যতে ফের সন্ত্রাসবাদের শিকার হোক। আর সে কারণেই সন্ত্রাসবাদ দমনে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা।

সন্ত্রাসবাদের কারণে বিদেশি বিনিয়োগও মুখ ফিরিয়েছে পাকিস্তান থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়ে এক ঢিলে দুটো পাখি মারতে চাইলেন বাজওয়া। এফএটিএফ-কে বার্তা দেওয়াও হল যে ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রচন্ড ভাবে আগ্রহী। আবার অন্য দিকে, এই বার্তার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ টানারও চেষ্টা করলেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে’, মার্কিন রিপোর্ট খারিজ করল ভারত

আরও পড়ুন: ওরা ভাবত... মরার মতো দম আমার নেই, কৃত্তিকার সুইসাইড নোটের ‘ওরা’ কারা?

জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির অর্থের জোগান-সহ আর্থিক তছরুপ, জালিয়াতি, দুর্নীতির মতো বিষয়ে নজরদারি ও তদারকি করে এফএটিএফ। ৩৭টি দেশের সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত এই সংস্থার নির্দেশিকা, হুঁশিয়ারি বা ফরমান কার্যত রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলির কাছে শিরোধার্য। গত বছরের জুনেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকাভুক্ত’ করেছিল এফএটিএফ। সেই সময়ই নির্দিষ্ট করে ২৭টি পদক্ষেপ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল এই সংস্থা। তার পর গত বছরের অক্টোবরেই এফএটিএফ-এর প্লেনারি-তে এই নিয়ে পর্যালোচনা হয়। নির্দিষ্ট করে দেওয়া পদক্ষেপগুলির মধ্যে পাকিস্তান কোন কোন ব্যবস্থা নিয়েছে, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে আরও এক বার তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়। ইসলামাবাদকে এফএটিএফ-এর দেওয়া চূড়ান্ত সময় শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে। সেই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিতে না পারে তা হলে কালো তালিকাভুক্ত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন