আবার রক্তাক্ত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা। সোমবারের পর বৃহস্পতিবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এই শহর।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা জারগন রোডের পাশে বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল পাক আদালতের এক বিচারক। ওই রাস্তা দিয়ে তাঁর গাড়ি যাওয়ার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। বিচারকের কিছু না হলেও গুরুতর জখম তাঁর সঙ্গে থাকা সন্ত্রাস-দমন শাখার চার পুলিশ। আহত আরও ৯। বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তার একাংশও। কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সারফারাজ বুগতি বলেন, ‘‘হামলার নিশানা ছিল বালুচিস্তান ফেডেরাল শরিয়ত আদালতের বিচারক জহুর শাওয়ানি ও তাঁর সঙ্গে থাকা সন্ত্রাস-দমন শাখার পুলিশ বাহিনী।’’ তিনি আরও জানান, রাস্তার ধারে প্রায় ৩-৫ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক মজুত ছিল। রিমোট দিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণের পর জখমদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গত সোমবার হামলা চালিয়েছিল তালিবান। সে দিন প্রথমে আদালত যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক আইনজীবী। সহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে ছুটে আসেন আইনজীবীরা। আর হামলার জন্য সেই সময়টাই বেছে নেয় জঙ্গিরা। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৭৫ জন। সেই পরিস্থিতি এড়াতে এ দিন বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিস্ফোরণের পরেই ঘোষণা করা হয়, দ্বিতীয় বিস্ফোরণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।