ফেসবুক থেকে ফের নাম-ফোন নম্বরের তথ্য ফাঁস

সম্প্রতি একটি অনলাইন রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে এই সব তথ্য। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুর্নীতি ও তথ্যচুরির অভিযোগে গত বছর রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল ফেসবুক ও তার স্রষ্টা মার্ক জ়াকারবার্গকে। ভুল স্বীকার করে নিয়ে জ়াকারবার্গ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘‘অনেক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তবু ভুল হয়েছে। আর হবে না।’’ কিন্তু ২০১৯-এও সেই অভিযোগ অব্যাহত রইল। এ বছর ফাঁস হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী এবং ৪১ কোটি ৯০ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য।

Advertisement

বছর শেষ হতে আর মাত্র ক’টা দিন। শেষলগ্নেও আশঙ্কা, আরও ২৬ কোটি ৭১ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তাহীন ভাবে পড়েছিল দীর্ঘদিন, তা-ও চুরি গিয়ে থাকতে পারে। সম্প্রতি একটি অনলাইন রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে এই সব তথ্য।

প্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন সংস্থা ‘কমপ্যারিটেক’ ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডায়াচেঙ্কোর দেওয়া তদন্ত-রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ থাকা সত্ত্বেও ২৬ কোটি ৭১ লক্ষেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ইউজ়ার আইডি, নাম, ফোন নম্বর নিরাপত্তাহীন ভাবে পড়েছিল দীর্ঘদিন। তা ফাঁস হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুরি যাওয়া তথ্যগুলি যে কারও হাতে চলে যেতে পারে। কোনও পাসওয়ার্ড লাগবে না, কোনও প্রমাণ লাগবে না, অবাধে অপরাধ হবে। রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, চুরির ওই তথ্য ব্যবহার করে এসএমএস বা ই-মেলে জালিয়াতি শুরু হতে পারে।

Advertisement

ডায়াচেঙ্কো জানিয়েছেন, তথ্য ফাঁসের বিষয়টি জানতে পেরে তিনি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি)-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যাতে ওই তথ্য বা ডেটাবেসের আইপি অ্যাড্রেস সরিয়ে দেওয়া হয় সার্ভার থেকে। যদিও তার পরে অন্তত দু’সপ্তাহ ও ভাবে পড়েছিল সেগুলি। ডায়াচেঙ্কার দাবি, ওই তথ্য হাতে পেলে হ্যাকাররা যে কোনও ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে পারেন।

তবে এই কাজের জন্য ফেসবুককে এখনই কাঠগড়ায় তুলছেন না ডায়াচেঙ্কো। তাঁর কথায়, ফেসবুকের অব্যবস্থা, নাকি লোকে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাবিধি ঠিক মতো মেনে না চলায় (প্রোফাইল পাবলিক করে রেখে) এই বিপত্তি, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।

ফেসবুক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি অন্তর্তদন্ত করে দেখছে। একটি মার্কিন টিভি চ্যানেলকে বিবৃতি দিয়ে তারা বলেছে, ‘‘আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখছি। তবে আমাদের বিশ্বাস গত কয়েক বছরে যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, তার আগেই ওই তথ্যচুরি হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন