মৃত আরও ২, প্রশ্নে এভারেস্টের ‘জ্যাম’

আজ সকালে এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে মারা যান ব্রিটিশ পর্বতারোহী রবিন ফিশার (৪৪)। আর গত কাল সকালে ৭০০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যু হয় ৫৬ বছরের এক আইরিশ পর্বতারোহীর। এভারেস্ট শৃঙ্গ থেকে মাত্র ১৫০ মিটার নামতে পেরেছিলেন ফিশার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৯ ০৩:৫৮
Share:

ছবি এএফপি।

আবার মৃত্যু এভারেস্ট অভিযানে। চলতি মরসুমে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে এই নিয়ে প্রাণ হারালেন মোট ৯ জন। এ ছাড়া খাদে পড়ে নিখোঁজ ১ আইরিশ পর্বতারোহী। তাঁর বাঁচার আশা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আজ সকালে এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে মারা যান ব্রিটিশ পর্বতারোহী রবিন ফিশার (৪৪)। আর গত কাল সকালে ৭০০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যু হয় ৫৬ বছরের এক আইরিশ পর্বতারোহীর। এভারেস্ট শৃঙ্গ থেকে মাত্র ১৫০ মিটার নামতে পেরেছিলেন ফিশার। আবহাওয়া যে ভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে আর দু’তিন দিনের মধ্যেই এ বছরের অভিযান বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত ভারতের ৪ জন, আমেরিকার ১ জন, অস্ট্রিয়ার ১ জন এবং নেপালের ১ জন পর্বতারোহী মারা গিয়েছেন। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ ও ২০১৫-র তুষারধস এবং ভূমিকম্পজনিত দুর্ঘটনা বাদ দিলে সাম্প্রতিক অতীতে এভারেস্ট অভিযানে এক বছরে এত বেশি মৃত্যুর নজির রয়েছে কেবল ২০১২-য়। মারা যান ১০ জন। ২০১৪ ও ’১৫-য় সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৬ ও ১৮।

Advertisement

এত মৃত্যু কেন? এ বারের অন্তত চারটি মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল উঠেছে এভারেস্টের পথে ‘ট্রাফিক জ্যামের’ দিকে। যে বছরে ১০ জনের মৃত্যু, সেই ২০১২-র এভারেস্ট অভিযানের একটি ছবিতে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল পর্বতারোহীদের। তখন থেকেই দাবি ওঠে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হোক এভারেস্টে। তা সত্ত্বেও এই মরসুমে (এপ্রিল-মে) রেকর্ড সংখ্যক পারমিট দিয়েছে নেপাল সরকার। শুক্রবার পর্যন্ত উঠেছেন মোট ৭৪০ জন (গত বছর ৮০৭ জন)।

অনেকেই মনে করছেন, রেকর্ডের নেশায় পাহাড়ের বিপজ্জনক ‘ডেথ জ়োনে’ এ ভাবে লাইন পড়াটা অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক। ১৩ জন বিদেশি পর্বতারোহীকে নিয়ে বুধবারের ‘জ্যামে’ পড়েছিলেন লামবাবু শেরপা। বলছেন, ‘‘লাইনে অন্তত ২০০ লোক, দু’তিন ঘণ্টা অপেক্ষা। ওভারটেক করা তো সম্ভব নয়। অনেকেই ক্লান্ত-অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চলতে পারছেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন