আল-কায়েদা প্রধান আল জাওয়াহিরি। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকাতে বড়সড় হামলা চালানোই তাঁর জীবনের শেষ ইচ্ছা বলে জানিয়েছেন আল-কায়দা প্রধান অল জাওয়াহিরি। এই মূহূর্তে তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএআই-এর নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থার একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু জাওয়াহিরিই নন, লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনও পাকিস্তানে রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০১-এ আফগানিস্তানে যখন মার্কিন সেনা তালিবানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের কোণঠাসা করে ফেলে, সেই সময়ই সেখান থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেন জওয়াহিরি। আর তাঁকে গোপন আস্তানার ব্যবস্থা করে দেয় আইএসআই। জওয়াহিরি যে পাকিস্তানেই রয়েছেন সেটা ওবামা প্রশাসনও জানত বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁকে খতম করতে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। জওয়াহিরি যে ঘরে থাকতেন তার ঠিক কয়েকটা ঘর আগেই ড্রোন হামলা চালানোয় কোনও রকমে বেঁচে যান তিনি। সংবাদ সংস্থাকে এ কথা জানান এক প্রাক্তন জঙ্গি নেতা।
আরও পড়ুন: বুকিং করলে এ বার ঘরে বসেই পাওয়া যাবে পেট্রোল-ডিজেল!
সেই ২০০১ থেকেই বার বার জাওয়াহিরির উপর ড্রোন হামলা হয়েছে। কিন্তু প্রতি বারই কোনও না কোনও ভাবে বেঁচে গিয়েছেন। আইএসআই-এর ওই প্রাক্তন নেতা জানান, জওয়াহিরি একটা সময় তাঁর দলের কাছেই ব্রাত্য হয়ে পড়েন। কারণ সেই সময় তাঁর ওই অধীন দলটি আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালাচ্ছিল। নিজের দলের কাছে কার্যত ব্রাত্য হয়েই পাকিস্তানে পালিয়ে আসেন জাওয়াহিরি। আশ্রয় নেন করাচিতে। লাদেনের মৃত্যুর পর আল কায়দার শক্তি কিছুটা কমলেও তারা যে একেবারে শেষ হয়ে যায়নি এটা ভাল ভাবেই জানে আমেরিকা। আল কায়দা যে তলে তলে শক্তি বাড়িয়ে হামলার ছক কষছে সেটাও নজরে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।