Alexei Navalny

সাইবেরিয়ার জেলে খোঁজ নাভালনির

২০২১-এর জানুয়ারি থেকে বন্দি নাভালনি। এত দিন তাঁকে রাখা হয়েছিল মস্কো থেকে ২৩৫ কিলোমিটার পূর্বে মেলেখোভো কারাগারে। ৬ ডিসেম্বর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর আইনজীবী বা মুখপাত্রেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মস্কো শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:২৮
Share:

আলেক্সেই নাভালনি ছবি: রয়টার্স।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সেই নাভালনির খোঁজ মিলল সাইবেরিয়ার একটি কারাগারে। আজ রাশিয়ার এই বিরোধী নেতার মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘নাভালনিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর আইনজীবী আজ নাভালনির সঙ্গে দেখাও করেছেন। তিনি আপাতত সুস্থ রয়েছেন।’

Advertisement

২০২১-এর জানুয়ারি থেকে বন্দি নাভালনি। এত দিন তাঁকে রাখা হয়েছিল মস্কো থেকে ২৩৫ কিলোমিটার পূর্বে মেলেখোভো কারাগারে। ৬ ডিসেম্বর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর আইনজীবী বা মুখপাত্রেরা। আদালতে নাভালনির বিরুদ্ধে নানা মামলা চলছে। সে সবের শুনানিতেও দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। অবশেষে আজ জানা গিয়েছে, প্রায় সুমেরুর কাছে, সাইবেরিয়ায় প্রত্যন্তে একটি কারাগারে রাখা হয়েছে পুতিন-বিরোধী এই নেতাকে। উত্তর রাশিয়ার ‘পোলার উল্ফ’ নামে এই কারাগার বাইরের পৃথিবী থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। নাভালনির মুখপাত্র কিরা-র কথায়, ‘‘কারাগার বদলের উদ্দেশ্য, নাভালনির জীবন যাতে আরও কঠিন ও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এই কারাগারে বন্দি কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুবই কঠিন। নাভালনির আইনজীবীর পক্ষেও সেখানে নিয়মিত যাওয়া-আসা করা হয় তো সম্ভব হবে না।’’ নাভালনি-ঘনিষ্ঠ আইভান জ়াদোভ-ও বলেন, ‘‘রাজনৈতিক বন্দিদের মনোবল ভেঙে দিতে, বাইরের দুনিয়া থেকে তাঁদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দিতে মস্কো প্রত্যন্ত এলাকার এই ধরনের কারাগারে তাঁদের পাঠিয়ে দেয়।’’

এ দিকে, পুতিনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংবাদিক ইয়েকাতেরিনা দুনৎসোভা। তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, তিনি যে নথি জমা দিয়েছিলেন, তাতে কিছু ‘ভুল ভ্রান্তি’ ছিল। আগামী মার্চে রাশিয়ার প্রসিডেন্ট পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হতে চলেছে সেখানে। গত ২০ ডিসেম্বর পুতিনের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে আবেদন জমা দিয়েছিলেন বছর ৪০-এর ইয়েকাতেরিনা। মূলত ‘শান্তি ও গণতন্ত্রের’ জন্য প্রচার করছিলেন তিনি। কমিশনের প্রধান, এলা পামফিলোভা জানিয়েছেন, ইয়োকাতেরিনার আবেদন খারিজ হওয়ার কারণে পুতিন নির্বাচনে জিতে যেতে পারেন। পুতিন সমালোচকদের মতে, কার্যত বিরোধীশূন্য হয়েই লড়বেন তিনি।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন