—প্রতীকী ছবি।
মাটির তলায় শুয়ে আছেন ওই ছ’জন। কিন্তু সেই বিশ্রামস্থল খুঁজে পেতেও তাঁদের লেগে গেল না জানি কতগুলি বছর।
কেউ জানে না, ওঁরা কারা। শুধু জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককেই মরতে হয়েছিল অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পোলান্ডের আউশভিৎস কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। মৃত্যুর পরে জোটেনি শেষকৃত্যটুকুও। বাইশ বছর ধরে তাঁদের দেহাবশেষ রাখা ছিল লন্ডনের ইম্পিরিয়াল ওয়ার মিউজিয়াম (আইডব্লিউএম)-এ। অবশেষে মাটি পেল পাঁচ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক বাচ্চার দেহাবশেষ। রবিবার লন্ডনের উত্তরে হার্টফোর্ডশায়ারে বুশে সমাধিস্থলে সমাহিত করা হল তাদের। অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয় ইহুদি সম্প্রদায়ের উদ্দেশে যুবরাজ চার্লসের পাঠানো শোকবার্তা। তিনিই ব্রিটেনের হলোকস্ট মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মুখ্য পৃষ্ঠপোষক। আইডব্লিউএম জানিয়েছে, ১৯৯৭ সালে হলোকস্ট সম্পর্কিত নানান জিনিস সংগ্রহশালায় দান করেন এক ব্যক্তি। খুব সম্ভবত তিনি হলোকস্ট থেকে কোনও ভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন। ওই ব্যক্তির দান করা জিনিসপত্রের মধ্যেই ছিল ছ’জনের দেহাবশেষ। বুধবার তা ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সমাহিত করা হল আজ।
ওই ছ’জনের পরিচয় যে জানার চেষ্টা হয়নি, তা নয়। ২০০৫ সালে দেহাবশেষগুলি পরীক্ষা করেছিলেন এক জন প্যাথোলজিস্ট। কিন্তু কিছু জানা যায়নি। আইডব্লিউএম-এর হলোকস্ট গ্যালারির এক কর্তা জেমস বুলগিন বলেন, ‘‘আমরা জানি না ওঁরা কারা। আমরা গবেষণার কাজেও দেহাবশেষগুলিকে ব্যবহার করতে পারব না। এগুলি এখানে রাখার আর কোনও অর্থ হয় না। তাই দেহাবশেষগুলিকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো ছিল খুবই কঠিন।’’ এ দিন শ’খানেক মানুষের উপস্থিতিতে পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় ছ’জনকে।