ফের অনুদান বন্ধের হুমকি পাকিস্তানকে

গত জানুয়ারিতেই পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ ১১৫ কোটি ডলারেরও বেশি অনুদান এক ধাক্কায় আটকে দিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

সন্ত্রাস দমন প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রতি নিজেদের কড়া অবস্থানেই অনড় থাকল আমেরিকা। সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে ইসলামাবাদকে আর্থিক সাহায্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল মার্কিন প্রশাসন।

Advertisement

গত জানুয়ারিতেই পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ ১১৫ কোটি ডলারেরও বেশি অনুদান এক ধাক্কায় আটকে দিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। যুক্তি একই। পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী দল ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইসলামাবাদ। তাতে দক্ষিণ এশিয়ার আফগানিস্তান, ভারত-সহ এক বিশাল অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।

এক দিকে আমেরিকার কড়া মনোভাব, অন্য দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত-সহ অন্যান্য দেশগুলির সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে কিছুটা হলেও সুর নরমে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। চাপের মুখে তড়িঘড়ি হাফিজ সইদকে জঙ্গি ঘোষণা করা হয়। দেশ জুড়ে হাফিজের রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে রাশ টানে প্রশাসন।

Advertisement

সে সময় সুর নামিয়েছিল ওয়াশিংটনও। মার্কিন কংগ্রেসের বাজেটে আগামী অর্থবর্ষে পাকিস্তানের জন্য সামরিক খাতে ৮ কোটি ডলার অনুদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তা হলে ফের কেন কড়া হুঁশিয়ারি?

জানুয়ারিতে সতর্ক করার পরেও সন্ত্রাস দমনের ব্যাপারে পাকিস্তানের ভূমিকা যে আদৌ বদলায়নি, এ বারও সে কথা স্পষ্ট করে দিল আমেরিকা। অভিযোগ, আফগানিস্তান ও অন্যান্য দেশে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের মাটিতেই আশ্রয় নিচ্ছে তালিবান ও অন্য জঙ্গিরা। সে কারণেই ফের অনুদান বন্ধের কড়াকড়ি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাইক অ্যানড্রিউসের মন্তব্য, ‘‘আটকে দেওয়া অনুদান ফেরত পেতে কী কী করণীয় সে বিষয়ে পাকিস্তানকে বরাবর খোলাখুলি বার্তা দিয়েছে আমেরিকা।’’ সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিসের আফগানিস্তান সফরে সঙ্গী ছিলেন অ্যান্ড্রুজ।
সন্ত্রাসদীর্ণ আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে বহু দিন ধরেই লড়ছে মার্কিন সেনা। প্রশ্ন উঠছে, জঙ্গি দমন করতে এ বার কি পাকিস্তানেও অভিযান চালাবেন তাঁরা?

এই মুহূর্তে তেমন পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়েছেন অ্যান্ড্রুজ। তিনি বলেন, ‘‘এই সময়ে মার্কিন সেনার গতিবিধি শুধু আফগানিস্তানের সীমানাতেই আবদ্ধ। তবে প্রয়োজনে সেই পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন