International News

সুদিন শেষ! আর্থিক তছরুপ করে আর ইংল্যান্ডে গিয়ে লুকনো যাবে না

গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে চিন, রাশিয়া আর ভারতের বিনিয়োগকারীরা ইংল্যান্ডের পাকাপাকি বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছিলেন। এ বার সেই গোল্ডেন ভিসা ব্যবস্থাই বাতিল করে দিল ব্রিটিশ সরকার। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বাতিল হয়ে যায় এই বিশেষ ভিসা ব্যবস্থা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে চিন, রাশিয়া আর ভারতের বিনিয়োগকারীরা ইংল্যান্ডের পাকাপাকি বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছিলেন। এ বার সেই গোল্ডেন ভিসা ব্যবস্থাই বাতিল করে দিল ব্রিটিশ সরকার। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বাতিল হয়ে যায় এই বিশেষ ভিসা ব্যবস্থা।

Advertisement

ইদানিং নিজ নিজ দেশে ঋণ খেলাপের অভিযোগ উঠলেই ব্রিটেনে গিয়ে থাকতে শুরু করছিলেন চিনা, রুশ এবং ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা। সেই ভয় থেকেই ব্রিটিশ সরকারের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

২০০৮ সালে গোল্ডেন ভিসা ব্যবস্থার সূচনা করে ব্রিটিশ সরকার। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর অবধিও তিন দেশের বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয় এই ভিসা। প্রথমে চিনা এবং রুশ বিনিয়োগকারীদেরই গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হয়েছিল। তবে তার কিছু দিনের মধ্যেই ৭৬ জন ভারতীয় বিনিয়োগকারীকে এই সুবিধা দেওয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: কর্মীদের বছরে এক মাস বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যায় এই সংস্থা!

২ বছরের জন্য এই ভিসা পেতে গেলে বিনিয়োগকারীদের ৯ কোটি টাকা দিতে হত। তিন বছরের জন্য ৪৫ কোটি টাকা এবং ইংল্যান্ডে পাঁচ বছরের বাসিন্দা হতে এক জন বিনিয়োগকারীকে ৯০ কোটি টাকা দিতে হত ব্রিটিশ সরকারকে। যদিও ২০১৪ সালে এই দু'বছরের গোল্ডেন ভিসা ব্যবস্থায় টাকার অঙ্ক দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে তা হয়ে যায় ১৮ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ইন্টারনেট থেকে পর্ন ভিডিয়ো সরাতে কেন্দ্রের পাশে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক

২০১৫ সালেই এই গোল্ডেন ভিসার একটি রিভিউ প্রকাশিত হয়। আর সেই রিভিউ সামনে আসার পরেই সন্দেহ হয় সরকারের। অফিসারদের তদন্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়। আর তখনই এই ভিসার নিয়মে বেশ কিছু বদল করে আরও কড়া করে হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের তরফে। সেই রিভিউয়ে পরিষ্কার করে বিদেশে গচ্ছিত'ডার্টি মানি'র কথা বলা হয়েছিল।

ব্রিটেনের অভিবাসন দফতরের মন্ত্রী ক্যারোলিন নোকসের কথায়, "প্রকৃত বিনিয়োগকারীরা যাঁরা ইংল্যান্ডে এসে আমাদের অর্থনীতি এবং ব্যবসায় সাহায্য করতে চায়, ব্রিটিশ সরকার সব সময়েই তাঁদের পাশে আছে।ইংল্যান্ডের অভিবাসন আইন বহির্ভূতকোনও কাজকরার চেষ্টা করা হলে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা বহু আগেই আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছিলাম।"

(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন