Lizard Oil

ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ হওয়ায় যৌনশক্তি বাড়াতে গেকোর তেলের চাহিদা বাড়ছে পাকিস্তানে!

স্বল্প দৈর্ঘ্যের, মোটা এই সরীসৃপগুলিকে রাজস্থানে ‘সান্ডা’ বলা হয়। পাকিস্তানের পঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশেও এই সরীসৃপ মেলে। ফলে ‘সান্ডা’ চোরাশিকার এবং পাচার বাড়ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১২:১৫
Share:

পাকিস্তানে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে গেকো। ছবি: এএফপি।

ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ হয়েছে পাকিস্তানে। আর তার পর থেকেই ভায়াগ্রার পরিবর্ত খোঁজা শুরু করেছেন সে দেশের পুরুষরা। যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধের জন্য যখন চাহিদা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়েই বিকল্প একটি পন্থা খুঁজে পেয়েছেন পাকিস্তানের পুরুষরা। আর তাঁদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বাজারে বহু হাতুড়ে ডাক্তারের আবির্ভাব হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ভায়গ্রা নিষিদ্ধ হওয়ায় এ বার গেকোর দিকে ঝুঁকছেন সে দেশের পুরুষরা। হাতুড়ে ডাক্তাররা দাবি করছেন, গেকোর (টিকটিকি প্রজাতি) চর্বি থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করলেই যৌনশক্তি বাড়বে। হাতুড়ে ডাক্তারদের সেই কথায় বিশ্বাস করে এখন তাঁদের কাছেই ছুটছেন অনেকেই।

সংবাদ সংস্থা এএফপি আরও জানাচ্ছে যে, রাওয়ালপিন্ডিতে এই তেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। শহরের রাজা বাজারে গেকোর তেল খুঁজতে ছুটছেন পুরুষরা। রাজা বাজারের এক বিক্রেতা ইয়াসির আলি বলেন, “এই তেল পাঁচ ফোটা ব্যবহার করলেই কাজ দেবে।” যে গেকোর চাহিদা পাকিস্তানে উত্তরোত্তর বাড়ছে সেটি ভারতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

Advertisement

স্বল্প দৈর্ঘ্যের, মোটা এই সরীসৃপগুলিকে রাজস্থানে ‘সান্ডা’ বলা হয়। পাকিস্তানের পঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশেও এই সরীসৃপ মেলে। ফলে ‘সান্ডা’ চোরাশিকার এবং পাচার বাড়ছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে ইসলামাবাদের এক চোরাশিকারি জানিয়েছেন, মাছ ধরার বঁড়শি দিয়ে এই গেকো ধরা হয়। তার পর সেটির লেজ ছিঁড়ে ফেলা হয়, যাতে পালাতে না পারে। কারণ এই সরীসৃপ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে। তাঁর কথায়, “এই সরীসৃপগুলিকে মারতে কষ্টও হয়। কিন্তু পেটের টানে এ সব করতেই হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন