India-Bangladesh

সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, দিল্লির উদ্বেগ ঢাকাকে

সন্ত্রাসমূলক কাজে অর্থের জোগান রুখতে দিল্লিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘নো মানি ফর টেরর’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ৭২টি দেশের প্রতিনিধিরা তাতে অংশ নিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ০৭:১৮
Share:

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি পিটিআই।

বাংলাদেশে ধারাবাহিক ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হওয়া আক্রমণ ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে আজ বাংলাদেশের কাছে উদ্বেগ জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করে ভারতের ওই উদ্বেগ জানান। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার হচ্ছেন সে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়। বিষয়টি নিয়ে যাতে সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কথা বলে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছিল। আজ বিষয়টি বৈঠকে ওঠায় আশা করা যায় আগামী দিনে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা কমবে। বাংলাদেশ সূত্রে বলা হচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা সামনে এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। প্রতি বছর পুজোর সংখ্যাও বাংলাদেশে বাড়ছে। কাজেই উদ্বেগ অমূলক।

Advertisement

সন্ত্রাসমূলক কাজে অর্থের জোগান রুখতে দিল্লিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘নো মানি ফর টেরর’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ৭২টি দেশের প্রতিনিধিরা তাতে অংশ নিয়েছেন। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মূল বৈঠকের মাঝেই আজ আলাদা করে দেখা করেন দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। স্বরাষ্ট্র সূত্রের মতে, সেই বৈঠকে বাংলাদেশে বসবাসকারী সে দেশের সংখ্যালঘু সমাজের উপর হওয়ার একাধিক হামলার ঘটনা এবং মন্দির ভাঙা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি প্রতিবেশী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান অমিত শাহ। সূত্রের মতে, ভারতের পক্ষ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের ঘটনাগুলি দমন করার পক্ষেও সওয়াল করা হয়।

এ ছাড়া আজ দু’দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্তের নিরাপত্তাজনিত পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বিষয় নিয়েও দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ওই বৈঠক প্রসঙ্গে পরে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দু’দেশের সীমান্তে হত্যা শূন্যে নিয়ে আসা নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনা হয়। একই সঙ্গে মায়ানমার থেকে চলে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে মোদী সরকার ঢাকাকে সব ধরনের সাহায্য করবে বলে আজ আশ্বাস দিয়েছেন শাহ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement