চিকিৎসার নামে মহিলা রোগীদের যৌন নিগ্রহ করতেন চিকিৎসক।
চার মহিলাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসককে ১২ বছর জেলের সাজা শোনাল ব্রিটেনের এক আদালত। অভিযোগ, চিকিৎসার নাম করে ওই মহিলাদের দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করে গিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, যশবন্ত রাঠৌর নামে বছর ষাটেকের ওই চিকিৎসকের বাড়ি পশ্চিম মিডল্যান্ডে। তিন বছর বয়সেই দেশ ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে পরিবারের সঙ্গে ব্রিটিনে চলে আসেন তিনি। বর্তমানে ক্যাসেল মিডাওস সার্জারি নামক একটি সংস্থায় তিনি কর্মরত।
পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মিডল্যান্ডে যশবন্তের যথেষ্ট নাম এবং পসার রয়েছে। তাঁর পেশাদারিত্বের প্রশংসাও করেছেন অনেক রোগী। পুলিশ জানিয়েছে, এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই মহিলাদের নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠাতেন যশবন্ত। তারপর চিকিৎসার নামে চলত যৌন নিগ্রহ। অভিযোগকারিনীদের কথায়, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাঁদের লাগাতার যৌন নির্যাতন করে গিয়েছেন যশবন্ত।
আরও পড়ুন:
নিজস্বীর ওই বেল্টটিই ২ বছর পরে ধরিয়ে দিল খুনিকে
৯০ দিনের মধ্যে জলশূন্য হয়ে যাবে গোটা কেপ টাউন!
সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক মাইকেল চ্যালিনর জানিয়েছেন, নিজের জনপ্রিয়তা এবং খ্যাতির অপব্যবহার করেছেন যশবন্ত। তাঁর চিকিৎসার বিদ্যারও অবমাননা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “চিকিৎসার নামে একটা নোংরা কাজ চালিয়েছেন আপনি। নিজের বিকৃত যৌন চাহিদা পূরণের জন্য রোগীদের ব্যবহার করেছেন।”
মিডল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, ওই চার মহিলা ছাড়াও চিকিৎসকের নামে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে আরও নানা জায়গা থেকে। তদন্তকারী এক অফিসার মাইকেল থারগুড বলেছেন, ‘‘বিশ্বাস এবং খ্যাতির ভয়ানক অবমাননা হয়েছে। এর পর থেকে মানুষ আর চিকিৎসকদের বিশ্বাসই করতে চাইবে না।’’
তবে, নিজের উপর ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন যশবন্ত। তাঁর দাবি, চিকিৎসার কারণেই মহিলাদের গায়ে হাত দিতেন তিনি। এটা ‘ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি’-র একটা অঙ্গ। যার সঙ্গে যৌন নির্যাতনের কোনও সম্পর্কই নেই।