ছবি দেববীর কালসির ফেসবুকের সৌজন্যে।
প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু, বাবা-মায়ের আর্জিতে শেষ পর্যন্ত মন গলে ফ্লোরিডা পুলিশের। তাঁদের কাছ থেকে মেয়ের বাড়ির ঠিকানা নিয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। তাঁরা দেখেন ঘরে থেকে ৩৩ বছরের সিল্কি গাইন্ড। গায়ে, হাতে পায়ে কালসিটে দাগ। তারাই উদ্ধার করেন সিল্কিকে। উদ্ধার করা হয় তাঁর এক বছরের মেয়েকেও।
ফ্লোরিডা পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ফোন আসে তাদের দফতরে। ফোনের ও পার থেকে আর্জি জানানো হয় মেয়েকে বাঁচানোর জন্য। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে বাঁচান! স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেয়েকে মারধর করে, ঘরে বন্দি করে রেখেছে।’’
আরও পড়ুন: ‘আমি বোধহয় স্ত্রীকে খুন করে ফেলেছি!’
ফ্লোরিডা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রথম উড়ো ফোন বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বার বার অনুরোধে আমরা ওই বাড়িতে যাই। প্রথমে ডাকাডাকি করলেও সাড়া মেলেনি। পরে বাড়ির ভিতর থেকে একটা শব্দ পাই আমরা। তখন দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়েকে।’’
আরও পড়ুন: আমেরিকায় শিখ ছাত্রকে কুপিয়ে খুন
পুলিশের কাছে সিল্কি জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয় দেববীর কালসি সঙ্গে। তখন থেকেই ফ্লোরিয়া রয়েছেন। বিয়ের পর থেকেই কালসি এবং তাঁর বাবা-মা মারধর করত তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার মারধর করে ঘরে বন্দি করে রাখে সিল্কিকে। বন্দি করে রাখা হয় এক বছরের শিশুকন্যাকেও। এর পরই ভারতে তাঁর বাবা-মাকে ফোন করে বিষয়টি জানান সিল্কি। মেয়ের ফোন পেয়ে ফ্লোরিডা পুলিশকে সব জানান বাবা-মা। তার পরই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
ফ্লোরিডা পুলিশ জানিয়েছে, সিল্কি এখন নিরাপদে আছেন। তাঁরা স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা পলাতক।