অফিশিয়ালি নতুন জার্নি শুরুর এখনও মাসপূর্তি হয়নি। এর মধ্যেই ট্রাম্প সাম্রাজ্যে যে বড় অংশের মার্কিনবাসী অখুশি তার প্রমাণ মিলেছে বারবার। ট্রাম্প জমানার গোড়াতেই তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। বিশেষত ডোনাল্ডের অভিবাসন নীতি ঘোষণার পর। অভিবাসন আইনে রদবদল করে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করছে ট্রাম্প সরকার। নানা দিক থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এ বার তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অ্যাঞ্জোলিনা জোলি।
আরও পড়ুন, খালি পেটে একটা দিনও কাটিয়েছেন? ট্রাম্পকে প্রশ্ন করল এই শিশু
শুধু অভিনেত্রী নন, সমাজকর্মী হিসেবেও অ্যাঞ্জোলিনা বিশেষ ভাবে পরিচিত। ২০১২ থেকে ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার অফ রিফিউজির দূত হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘‘এই অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত। আমাদের নিজেদেরই নিজেদের রক্ষা করতে হবে। যে ভাবে শরণার্থীদের পুনর্বাসন আটকানো হচ্ছে, বা কিছু মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকা আসা বন্ধ করা হচ্ছে, সেটা কখনও আমেরিকানদের কাছে কাঙ্খিত নয়। নিরাপত্তার নামে আমরা নিজেদের মূল্যবোধ ভুলে যেতে পারি না। শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলেই যে আমরা নিরাপদ হয়ে যাব, এমন তো নয়।’’
আরও পড়ুন, বেনজির! অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকোর প্রধানদের ফোনে ধমক ট্রাম্পের
জোলির কথায়, শরণার্থীদের সমস্যা রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু তার থেকেও তো ভয়ানক জঙ্গি সমস্যা। তাই নাগরিকদের নিরাপদ রাখতে সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত সরকারের। তাঁর কথায়, ‘‘নাগরিকদের চাহিদা আর আন্তর্জাতিক দায়িত্বের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে সরকারকে। শুধু ভয় নয়, নির্দিষ্ট কারণ থাকলে তবেই এমন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”