International

মেধাসত্ব চুরির দায়ে তারকা ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা গুগলের

৪ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি গুগলের ‘চোখের মণি’ থেকে হয়ে উঠলেন এক নম্বর দুশমন! চালকবিহীন গাড়ির প্রায় অসম্ভব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ২০১৩-য় যাঁর নাম ঘুরত মার্কিনদের মুখে মুখে, মেধাসত্ব আইন ভেঙে প্রযুক্তি চুরি করার দায়ে সেই চোখের মণি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকেই শূলে চড়াল গুগলের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ‘ওয়েমো, দ্য অ্যালফাবেট ইঙ্ক’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৬:৪১
Share:

অ্যান্থনি লেভানদাওস্কি।

৪ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি গুগলের ‘চোখের মণি’ থেকে হয়ে উঠলেন এক নম্বর দুশমন!

Advertisement

চালকবিহীন গাড়ির প্রায় অসম্ভব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ২০১৩-য় যাঁর নাম ঘুরত মার্কিনদের মুখে মুখে, মেধাসত্ব আইন ভেঙে প্রযুক্তি চুরি করার দায়ে সেই চোখের মণি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকেই শূলে চড়াল গুগলের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ‘ওয়েমো, দ্য অ্যালফাবেট ইঙ্ক’।

তিনি অ্যান্থনি লেভানদাওস্কি। বৃহস্পতিবার লেভানদাওস্কির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে চালকবিহীন গাড়ির জন্য গুগলের ‘সিস্টার কনসার্ন’- ‘ওয়েমো, দ্য অ্যালফাবেট ইঙ্ক’। অভিযোগ, ‘অ্যালফাবেটে’র বহু মূল্যবান মেধাসত্ব চুরি করে তা তাঁর এখনকার সংস্থা ‘উবের টেকনোলজিস’-এর হাতে তুলে দিয়েছেন লেভানদাওস্কি। এও অভিযোগ, ২০১৬-র জানুয়ারিতে ‘অ্যালফাবেটে’র চাকরিটা ছাড়ার আগে থেকেই তিনি গুগলের গোপন তথ্যাদি, প্রযুক্তি-প্রকৌশলের নকশা, খবরাখবর, আগামী প্রকল্পের ১৪ হাজার ফাইল ডাউনলোড করে সরিয়ে ফেলতে শুরু করে দেন। আদালতে গুগলের সংস্থা ‘ওয়েমো, দ্য অ্যালফাবেট ইঙ্ক’-এর তরফে জানানো হয়েছে, লেভানদাওস্কি ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের ওই মেধাসত্ব চুরির ‘ডিজিট্যাল ফুটপ্রিন্টস’ (তথ্যপ্রযুক্তিগত প্রমাণ) তাঁদের হাতে রয়েছে। মামলায় লেভানদাওস্কিকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে। চালকবিহীন গাড়ির ব্যবসায় এই মুহূর্তে উবেরের সঙ্গে জোর টক্কর চলছে গুগলের। তার পর এই মামলা ‘আগুনে ঘৃতাহুতি’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

আরও পড়ুন- ‘আমার দেশ ছাড়ো’ বলে পরপর গুলি, আমেরিকায় হত ভারতীয় ইঞ্জিনিয়র

সমস্যার মধ্যমণি যিনি, সেই ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার ঝকঝকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লেভানদাওস্কি যখন বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, তখন থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল চালকবিহীন গাড়ির অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের। লেজার রশ্মির মাধ্যমে চালকবিহীন গাড়ি চালানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য পরে তিনি ‘৫১০ সিস্টেমস’ নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেন। সেই স‌ংস্থা বাজারে পিৎজা গাড়িও এনেছিল। লেভানদাওস্কি গুগলের চাকরিটায় যোগ দেন ২০০৭ সালে। কিন্তু গুগল পরে জানতে পারে তাদের চাকরিতে ঢোকার পরেও তাঁর সংস্থা ‘৫১০ সিস্টেমস’টাও চালিয়ে যাচ্ছেন লেভানদাওস্কি, কোনও রাখঢাক না রেখেই। কিন্তু তখন লেভানদাওস্কি ‘চোখের মণি’ ছিলেন গুগলের, তাই লেভানদাওস্কির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং ‘৫১০ সিস্টেমস’ কোম্পানিটাই কিনে নেয় গুগল। গুগল ছাড়ার আগেও ‘ওটো’ নামে একটি কোম্পানি খুলেছিলেন লেভানদাওস্কি। তিনি গুগল ছেড়ে উবেরের চাকরিটা নিলে উবের সেই ‘ওটো’ সংস্থাটি ৬৮ কোটি ডলারে কিনে নেয়, গত অগস্টে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন