Ukraine

Ukraine Russia Conflict: অনেক কষ্টের শেষে ইউক্রেন ছাড়তে পারল বিখ্যাত বিড়াল স্টেপান, স্বস্তিতে ১১ লাখ ভক্ত

এক সপ্তাহের বেশি সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয় তাদের। এর মধ্যে দু’টি দিন কাটাতে হয়েছে বেসমেন্টে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২২ ১৮:৫৬
Share:

স্টেপান এখন ফ্রান্সে। ছবি: ইন্সটাগ্রাম

স্টেপান। ১৩ বছরের এই মার্জার শাবককে নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় ছিলেন তার ভক্তরা। সেই ভক্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শুধু ইনস্টাগ্রামেই তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। টিকটকেও খুবই জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্টেপানের মুক্তির কাহিনি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। তার আগে ভাইরাল হয় স্টেপান ও তার পালক পরিবারের যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকার কাহিনিও।

Advertisement

‘লাভইউস্টেপান’ নামের ইন্সটাগ্রাম পেজ থেকেই জানা গিয়েছিল রাশিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় কী ভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছিল স্টেপানের। স্টেপানের হয়ে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি চালান আন্না। তিনিই জানিয়েছেন, কী ভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত খারকিভ শহরে আটকে ছিলেন তাঁরা। আটকে ছিল জনপ্রিয় বিড়াল স্টেপান।

সেখানে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের বেশি সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয় তাদের। এর মধ্যে দু’টি দিন কাটাতে হয়েছে বেসমেন্টে। অন্য একটি বেসমেন্টে যেতে হত মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য। অনেক কষ্টে তাঁরা শহর ছাড়তে সক্ষম হন। তাঁদের সাহায্য করেন খারকিভের স্বেচ্ছাসেবকরা। খারকিভ থেকে ২০ ঘণ্টার সফর করে লিভ শহরে পৌঁছন। এর পরে স্টেপানকে নিয়ে পোল্যান্ড সীমান্ত পার হন আন্নারা।

Advertisement

সীমান্ত অতিক্রম করাও সহজ ছিল না। আন্না জানিয়েছেন স্টেপানকে নিয়ে দীর্ঘ ন’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে সীমান্তের কাছে। সেখানে হাজার পাঁচেক মানুষের ভিড় ছিল। তবে পোল্যান্ডের মাটিতে পা রাখার পরে আর অসুবিধা হয়নি। সেখানে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে ‘ওয়ার্ল্ড ইনফ্লুয়েন্সার্স অ্যান্ড ব্লগারস অ্যাসোসিয়েশন’। এর পরে নিরাপদে স্টেপানকে নিয়ে তাঁরা ফ্রান্সে পৌঁছেছেন।

ফ্রান্সে স্টেপানদের দেখাশোনার দায়িত্বও নিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ইনফ্লুয়েন্সার্স অ্যান্ড ব্লগারস অ্যাসোসিয়েশন’। প্রসঙ্গত, ২০১৯ তালে তৈরি হওয়া ওই সংস্থাই স্টেপানকে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রভাবশালী প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। রাশিয়া আক্রমণ করার পরেও নিজের ইনস্টাগ্রামে স্টেপান লিখেছিল, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ চায় না’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন