ফুয়েগোর বলি ৬৯

ঘুম থেকে জেগে উঠেই গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি প্রাণ কেড়েছে অন্তত ৬৯ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। জখম শতাধিক। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াতেমালা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৮ ০২:৩১
Share:

গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি। ছবি:এএফপি।

মর্গে ভিড় বাড়ছে প্রিয়জনের। কারও খবর মিলেছে, কেউ বা সব কিছু থেকে বহু দূরে কালো ধোঁয়া আর কাদামাটিতে ঢাকা পড়ে রয়েছে— নিথর।

Advertisement

ঘুম থেকে জেগে উঠেই গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি প্রাণ কেড়েছে অন্তত ৬৯ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। জখম শতাধিক। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।

গত ১০০ বছরে ফুয়েগোর এমন ভয়াবহ রূপ আর দেখা যায়নি। রবিবার সব চেয়ে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল সে। একের পর এক বিস্ফোরণ। এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস। খয়েরি-ধূসর আস্তরণে ঢাকা পড়েছে আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন এলাকার বাড়িঘর, গাছপালা।

Advertisement

ইতিমধ্যে ধস নামতে শুরু করেছে বিক্ষিপ্ত এলাকায়। চাপা পড়ে গিয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। ভিতরে এখনও বেশ কয়েক জন আটকে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গুয়াতেমালার প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে কফি খামারগুলিরও। বেশির ভাগ এলাকাই খালি করে দিয়েছে প্রশাসন। আশপাশের অস্থায়ী শিবিরগুলিতে ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা করার অনুরোধ জানিয়েছেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস।

গুয়াতেমালার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের থেকে পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯। যাঁদের মধ্যে মাত্র ১৭ জনকেই শনাক্ত করা গিয়েছে। এল রোডিয়ো-র গ্রামগুলি থেকে প্রথম পর্যায়ে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও উত্তপ্ত কাদামাটির ও কালো ধোঁয়ায় তা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। জুতো পর্যন্ত গলে যাচ্ছে। উদ্ধারকাজে নেমে নাকাল হচ্ছেন দমকলকর্মীরাও। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন