একাধিক যৌন কেচ্ছা! শেষ পর্যন্ত ইস্তফাই  জয়েসের

আজ টুইট করে জয়েস জানিয়েছেন, আগামী সোমবার ন্যাশনাল দলের নেতা এবং দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। গোটা বিতর্কে তাঁর পাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি জয়েস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ক্যানবেরা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:২১
Share:

ইস্তফার জন্য দু’সপ্তাহ ধরে তাঁকে চাপে রেখেছিল তাঁর নিজের দলই। কিন্তু তিনি অনড় ছিলেন। অবশেষে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শুক্রবার ঘোষণা করলেন বারনাবি জয়েস। অস্ট্রেলিয়ার এই উপপ্রধানমন্ত্রীর একাধিক যৌনকেচ্ছা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল গোটা দেশে।

Advertisement

আজ টুইট করে জয়েস জানিয়েছেন, আগামী সোমবার ন্যাশনাল দলের নেতা এবং দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। গোটা বিতর্কে তাঁর পাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি জয়েস।

গত বছর প্রথম জয়েসের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। নিজের প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা ভিকি ক্যাম্পিয়নের সঙ্গে একটি পানশালায় তোলা ছবি থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। নিজের স্ত্রীকে বিচ্ছেদ দিয়ে বর্তমানে ভিকির সঙ্গেই থাকেন জয়েস। আগামী এপ্রিলে তাঁদের সন্তান হবে। বিরোধীরা অভিযোগ করতে শুরু করেছিলেন, ভিকির সঙ্গে অবৈধ ভাবে সম্পর্ক রাখতে গিয়ে পার্লামেন্টের ক্ষমতা অপব্যবহার করেছেন জয়েস। অবিলম্বে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত। কিন্তু জয়েসের বক্তব্য ছিল, ভিকির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়, এর সঙ্গে সরকার বা রাজনীতির কোনও যোগই নেই। শুধু ভিকিই নন, আরও বেশ কয়েক জন মহিলা জয়েসের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছেন। জয়েস অবশ্য সেগুলি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁর মানহানির চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement

জয়েসের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ঘোষণা করেছিলেন, সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কোনও মন্ত্রী যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। জয়েসের ইস্তফার সিদ্ধান্তের পরে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন