৭ মার্চ, ১৯৭১। ঢাকায় ঐতিহাসিক ভাষণ মুজিবুর রহমানের।
গোটা বাংলাদেশ সোমবার পালন করছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই তারিখে পাকিস্তান প্রশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর আহ্বান জানিয়েছিলেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানকেই মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে ধরা হয়। সেই উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সোমবার গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়া সত্ত্বেও বাঙালি নেতা মুজিবুর রহমানকে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা কোনও দিন সরকার গঠন করতে দেননি। বাংলা ভাষা এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের কথা যত বার তুলেছে বাঙালিরা, পশ্চিম পাকিস্তান তত বারই বন্দুকের মুখে তা গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) আন্দোলন তীব্র হতেই সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালানো শুরু করে পাক সেনা।
বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও দেখুন:
আওয়ামি লিগের তৎকালীন প্রধান মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জনসভা ডাকেন। বিপুল জনসমাগমের সামনে দাঁড়িয়ে, বঙ্গবন্ধু সে দিন ঘোষণা করেছিলেন, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনকে আর কর দেবে না বাঙালি। অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ করে দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে মানুষকে তৈরি হতে বলেছিলেন যুদ্ধের জন্য। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ, গোটা বিশ্বেই খ্যাত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দিনও ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) আয়োজিত হয়েছে বিশাল জনসভা।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৫৩টি জেলায় ৭৯টি মামলা