বাংলাদেশে এ বার কার্যত, ‘ধর্মযুদ্ধ’ শুরু করার ডাক দিল আল-কায়েদার শাখা!
এক বছরেরও কম সময়ে বাংলাদেশে যে ৬ জন লেখককে খুন করা হয়েছে, পুরোপুরি তার দায় স্বীকার করে নিয়েছে দুনিয়া কাঁপানো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শাখা। যা মূলত বাংলাদেশ থেকেই তার যাবতীয় ‘অপারেশন’ চালায়। শুধু দায় স্বীকার করে নিয়েই থেমে থাকেনি আল-কায়েদা। কোনও রাখ-ঢাক না রেখেই জানিয়ে দিয়েছে, কোনও ধর্মবিদ্বেষীকেই তারা রেয়াত করবে না। যে বা যাঁরা ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাঁদের বেছে বেছে খুন করা হবে। আজ, নয়তো কাল। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। এটাই ‘ধর্মযুদ্ধ’।
আল-কায়েদার হালের এই ঘোষণায় দৃশ্যতই নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার। কী ভাবে ওই হামলা ঠেকানো যায়, তা নিয়ে প্রশাসনের প্রায় সর্ব স্তরেই শুরু হয়ে গিয়েছে আলাপ আলোচনা। লক্ষ্য করা যাচ্ছে তৎপরতাও।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে ফের কুপিয়ে খুন ব্লগার
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘‘আমরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখছি। তবে আমরা এখনই সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাইছি না। বাংলাদেশে গত এক বছরে যে ৬ জন লেখক-ব্লগার খুন হয়েছেন, সত্যি-সত্যিই আল-কায়েদা তাঁদের খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছে কি না, সে ব্যাপারে আগে আমাদের সুনিশ্চিত হতে হবে।’’
ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার (একিউআইএস বা, ‘আকিস’) মনিটরিং গ্রুপ ‘সাইট’ জানিয়েছে, তাদের ‘‘বাংলাদেশের শাখাই লেখক-ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে।’’
বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২৬ বছর বয়সের লেখক-ব্লগার সামাদকে বুধবার রাতে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল আততায়ীরা। তার পর সামাদকে দা দিয়ে কোপানো হয়। সেখানেই শেষ নয়। অর্ধোন্মৃত সামাদকে তার পর গুলি করে একটি বাইকে চেপে উধাও হয়ে যায় আততায়ীরা।