বদলা নিতে তৈরি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট!
মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচনে হ্যাকিং-অভিযোগে গত কালই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির পুতিনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল হোয়াইট হাউস। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আজ এক রেডিও-সাক্ষাৎকারে বারাক ওবামা জানালেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে তৈরি তাঁর প্রশাসন। কিন্তু ২০ জানুয়ারি তাঁর জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আসছেন হোয়াইট হাউসে। তাই এর মধ্যে আদৌ কিছু করা সম্ভব কি না, জোর জল্পনা হোয়াইট হাউসে। এ দিকে ট্রাম্প আবার তাঁর নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই পুতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নিজের ক্যাবিনেটে বিদেশসচিব হিসেবে তিনি যাঁকে চাইছেন, সেই রেক্স টিলারসনও ‘পুতিনের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়িক মহলে।
তা হলে? পুতিনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েও ঢোঁক গিলছে ওবামা-শিবির। বস্তুত, ভোটের অনেক আগে থেকেই ডেমোক্র্যাটিক দল ও দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের ই-মেল হ্যাক নিয়ে মস্কোকে দোষারোপ করে আসছে ওবামা শিবির। সম্প্রতি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা এফবিআই-ও তাদের তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে ভোটে জিতিয়েছে রাশিয়াই। যা প্রথম থেকেই নাগাড়ে অভিযোগ খারিজ করে আসছে। হোয়াইট হাউসের দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘হাস্যকর’ বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
ওবামা তবু নাছোড়। তাঁর কথায়, ‘‘বাইরে থেকে কেউ আমাদের ভোটে প্রভাব ফেলবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেব না। যথাসময়ে আমরা ঠিক এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব।’’ হোয়াইট হাউসের পাশাপাশি আজ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড়সড় হ্যাকিংয়ের অভিযোগ এনেছে পেন্টাগন। রুশ মদতে গত বছরই মার্কিন সেনার ই-মেল সার্ভার হ্যাক হয়েছিল বলে গত কাল একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছে পেন্টাগন। মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, ওবামার হাতে রাশিয়া-বধের অস্ত্র যথেষ্টই রয়েছে। শুধু হাতে সময়টাই যা কম!