Obama party: ডেল্টা-ঢেউয়ের মধ্যেই রাতভর পার্টি ওবামার

​​​​​​​৪ অগস্ট ছিল ওবামার জন্মদিন। শনিবার, ম্যাসাচুসেটসের মার্থা’স ভাইনইয়ার্ডে পার্টি দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সেখানে কয়েকশো অতিথি নিমন্ত্রিত ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ০৫:৪১
Share:

বারাক ওবামা।

ওয়াশিংটন, ৮ অগস্ট: সংক্রমণ ফের বেড়েছে আমেরিকায়। রোজই দৈনিক সংক্রমণ লাখের কাছাকাছি। ডেল্টা নিয়ে আতঙ্কে প্রশাসন। ফের জারি করা হয়েছে কড়া করোনা-বিধি। কিন্তু সে সব ‘বজ্র আঁটুনি’ কি শুধু সাধারণ মানুষের জন্যই! অন্তত তেমনটাই বলছেন সমালোচকেরা। নিজের ৬০তম জন্মদিনে কয়েকশো লোকজন নিয়ে পার্টি করলেন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মাস্ক পরেননি কেউ। নাচ-গান-উল্লাসে দূরত্ব-বিধি কোথায়!

৪ অগস্ট ছিল ওবামার জন্মদিন। গত কাল, শনিবার, ম্যাসাচুসেটসের মার্থা’স ভাইনইয়ার্ডে পার্টি দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সেখানে কয়েকশো অতিথির সঙ্গে নিমন্ত্রত ছিলেন আমেরিকান গায়ক এরিকা বাডু। তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। তাতে দেখা যায়, মাস্কহীন ওবামা মাইক্রোফোন হাতে ডান্সফ্লোরে। তার চার পাশে আরও অনেকে। কারও মুখেই মাস্ক নেই। মঞ্চে তখন গান করছিলেন বাডু। তিনিই টেনে আনেন ওবামাকে। সেলিব্রেশন বলে কথা! মঞ্চের আশপাশে বিশাল ভিড় উল্লাসে ফেটে পড়ছে। অতিমারি-আতঙ্কের কোনও চিহ্ন নেই।

Advertisement

মার্থা’স ভাইনইয়ার্ড দ্বীপে ওবামার ১ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের অট্টালিকার বাগানে পার্টির আয়োজন হয়েছিল। সন্ধে নাগাদ পার্টি শুরু হয়। শেষ হয়েছে যখন ভোরের আলো ফুটল বলে। অতিথি তালিকায় ছিল ৫০০ জনের নাম। যদিও পার্টির আয়োজকের দাবি, অতিমারির কথা মাথায় রেখে সংখ্যাটা কমানো হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ বিরোধী রিপাবলিকান পার্টি। রিপাবলিকান নেতা রায়ান জেমস গিরডাস্কি বলেন, ‘‘এ হল একেবারে সুচারু পর্যায়ে গিয়ে ভন্ডামি। ওরা নিজেরা যা বলে, তা করে না। উচ্চমার্গের উদারপন্থী নেতারা তো আমাদের নিয়ে খুব হেসেছিল। এখন এটা বলছে ছোট পার্টি!’’ নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা এলিস স্টেফানিক ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘‘নিয়ম তো সব বাকিদের জন্য, আমার জন্য নয়!’’

পার্টিতে ছবি তোলা নিষিদ্ধ ছিল বলেও শোনা গিয়েছে। কিন্তু সে সব নিয়মের তোয়াক্কা না-করে দেদার ছবি উঠেছে। পার্টিতে ব্র্যান্ডেড মাস্কও দেওয়া হয়েছিল। যদিও সে সব ব্যবহার করতে দেখা যায়নি কাউকে।
সম্প্রতি নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধেও। তাঁর এক সহযোগী করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তিনি আইসোলেশনে যেতে রাজি হননি। যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেননি। কিন্তু একটি দৈনিকে প্রমাণ-সহ দেখানো হয়েছে, বরিসের দাবি সত্য নয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন