Israel-Hamas Conflict

হামাসের দাবি ‘যুক্তিহীন’, অনড় ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তিনি নতি স্বীকার করবেন না। কারও মাধ্যমে নয়, তিনি সরাসরি প্যালেস্টাইনিদের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে সমঝোতায় রাজি রয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেল আভিভ শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৩
Share:

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।

এখনও শতাধিক ইজ়রায়েলি গাজ়া ভূখণ্ডে হামাসের ডেরায় বন্দি রয়েছেন। তাঁরা কবে দেশে ফিরবেন, আদৌ ফিরতে পারবেন কি না, কোনও ঠিক নেই। কত জন বেঁচে আছেন, তা-ও অজানা। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশেও বেশ চাপে। হাজার হাজার মানুষ প্রায়ই পথে নামছেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-বিনিময় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারছে না হামাস, ইজ়রায়েল কোনও পক্ষই। নেতানিয়াহুর বক্তব্য, ‘‘যুক্তিহীন দাবিদাওয়া করছে হামাস।’’

Advertisement

নেতানিয়াহু আজ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তিনি নতি স্বীকার করবেন না। কারও মাধ্যমে নয়, তিনি সরাসরি প্যালেস্টাইনিদের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে সমঝোতায় রাজি রয়েছেন। আসলে পড়শি দেশ কাতার ও মিশর ক্রমাগত গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। উল্টো দিকে, শতাধিক ইজ়রায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তারা হামাসকেও চাপ দিচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর সুফল মেলেনি। গত সপ্তাহেও কায়রোতে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তি নিয়ে এক দফা আলোচনা হয়েছে। সে নিয়ে নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আলোচনায় হামাসের যুক্তিহীন দাবিদাওয়া ছাড়া আর কিছুই মেলেনি।’’ নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসের একগুচ্ছ দাবি— যুদ্ধ থামাতে হবে। হামাস যেমন আছে, সে ভাবে থাকতে দিতে হবে তাদের। অর্থাৎ তাদের নিশ্চিহ্ন করার যে শপথ নিয়েছে ইজ়রায়েল, তা থেকে পিছু হটতে হবে। এ ছাড়াও ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি হাজার হাজার প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিতে হবে। এমনকি জেরুসালেমে ইহুদিদের পবিত্র স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’ এবং ইসলামিক তীর্থক্ষেত্রটি নিয়েও দাবি জানিয়েছে হামাস। নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে কায়রোর সমঝোতা-আলোচনায় ইজ়রায়েলি প্রতিনিধিরা চুপচাপ বসে শুনে গিয়েছেন। পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। এক মিলিমিটার কেন— ন্যানোমিটার পরিবর্তনও ঘটেনি।’’

এ দিকে, এ বারেও সপ্তাহান্তে ভিড় জমেছিল তেল আভিভের রাস্তায়। বন্দি মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেন। সই সংগ্রহ করা হয়। স্লোগানে ঝড় তোলা হয়— ‘‘সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিছু করুন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন