International News

চিন-পাকিস্তানকে ঘোর দুশ্চিন্তায় ফেলে গ্রেনেড হামলা গ্বাদর বন্দরে

বালুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চিনা বিনিয়োগে তৈরি গ্বাদর বন্দরে গ্রেনেড হামলা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোয়েটা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:৩৬
Share:

গ্রেনেড হামলায় জখম হয়েছেন ২৬ জন। অনেকের চোটই বেশ গুরুতর। ছবি: এএফপি।

হামলার মুখে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ। বালুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চিনা বিনিয়োগে তৈরি হয়েছে যে গভীর সমুদ্র বন্দর, সেই গ্বাদরে গ্রেনেড হামলা হল। বৃহস্পতিবার রাতে গ্বাদর বন্দর চত্বরে এই হামলা হয়েছে। পাকিস্তানের পুলিশ বিভাগ শুক্রবার এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেনেড বিস্ফোরণে কারও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু ২৬ জন শ্রমিক জখম হয়েছেন বলে খবর। পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে সরব বালোচরা বরাবরই বেজিঙের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় তৈরি চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের বিরুদ্ধে সরব। গ্বাদর বন্দর এলাকায় গ্রেনেড হামলার পর তাই করিডরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ এবং বেজিঙের।

Advertisement

বালুচিস্তানের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্বাদর বন্দরের শ্রমিক হস্টেলে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেনেড হামলাটি হয়েছে। হস্টেলের আবাসিকরা তখন নৈশভোজ সারছিলেন। মোটরবাইকে আসা কয়েকজন গ্রেনেড ছুড়ে দেয় হস্টেলে। বিস্ফোরণে ২৬ জন আহত হন।

আরও পড়ুন: দিওয়ালির আগে দশ দিনে তিন বার পাক হামলা কাশ্মীরে, উদ্বেগে দিল্লি

Advertisement

কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীই এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বালুচিস্তানের স্বাধীনতাপন্থীরা গ্বাদরে এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে একাংশের ধারণা। তবে ইরান এবং আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া বালুচিস্তানে অন্যান্য বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীও সক্রিয়। গ্রেনেড হামলা তাদের কাজ কি না, সেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১০০ বছর হাত মিলিয়ে চলবে দিল্লি-ওয়াশিংটন: চিনকে বার্তা আমেরিকার

চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের বড় অংশই বালুচিস্তানের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। পশ্চিম চিনের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া করিডর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের গ্বাদর বন্দরে। ওই বন্দরের মাধ্যমেই মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সমুদ্রপথে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে চায় চিন। কিন্তু উপদ্রুত বালুচিস্তানের মধ্যে করিডরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রথম থেকেই চিন আশঙ্কায়। পাকিস্তানের সরকার চিনকে বার বার আশ্বাস দিয়েছে, ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগে তৈরি প্রকল্পের গায়ে কোনও আঁচ লাগতে দেবে না ইসলামাবাদ। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলি হামলার সাক্ষীই হতে হয়েছে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে যাওয়া চিনা করিডরকে। এ বার সরাসরি গ্বাদর বন্দরেই গ্রেনেড বিস্ফোরণ। এই হামলা স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিনের। ফলে চাপ আরও বেড়েছে পাকিস্তানের উপর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন