International News

‘১৪ বছর পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের মোবাইল ব্যবহার করতেই দিইনি’

সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর সময়েই হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল। এমনকী ট্যাবও। সারা পৃথিবী জুড়ে অভিজাত বাব-মায়েরা এমনটাই করে থাকেন। এবং ওই সব গ্যাজেটস শিশুদের জীবনের অঙ্গও হয়ে উঠেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ১৭:০১
Share:

সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর সময়েই হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল। এমনকী ট্যাবও। সারা পৃথিবী জুড়ে অভিজাত বাব-মায়েরা এমনটাই করে থাকেন। এবং ওই সব গ্যাজেটস শিশুদের জীবনের অঙ্গও হয়ে উঠেছে। এর ফলে অনেকাংশেই হারিয়ে যাচ্ছে ছোটদের জীবনের স্বাভাবিকতা। অথচ ওই সব গ্যাজেটের বেশির ভাগই যে প্রযুক্তির সাহায্যে চলে, তার জনক বিল গেটস কিন্তু ও পথে হাঁটেননি। প্রাচুর্যের কোনও অভাব না থাকলেও তিনি তাঁর সন্তানদের হাতে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত কোনও মোবাইল ফোন তুলে দেননি।

Advertisement

সিলিকন ভ্যালির অভিজাত শ্রেণির মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার বার্তা দিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বিল বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে প্রতি দিন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর স্ক্রিনের দিকে তাকাই না। এতে ছেলেমেয়েরা নির্দিষ্ট সময় ধরেই ঘুমোয়। খাওয়ার টেবিলে যখন একসঙ্গে বসে খাই তখনও আমরা ফোন সঙ্গে রাখি না। মেলিন্ডা (বিলের স্ত্রী) ও আমি ছেলেমেয়েদের ১৪ বছর বয়স হওয়ার আগে তাদের হাতে ফোন তুলে দিইনি। অন্য বাচ্চাদের হাতে ফোন দেখে ওরা প্রায়ই বায়না করতো। কিন্তু, আমরা অবিচল ছিলাম।’’

আরও পড়ুন: সংযত হোন, বেজিং থেকে ফোন ট্রাম্পকে

Advertisement

বিল-মেলিন্ডার তিন সন্তান। জেনিফার (২০), রোরি (১৭) ও ফেবে (১৪)। তারা কোন ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করে, সেটা না বললেও ২০১২-য় ‘বিবিসি রেডিও ফর টুডে’ অনুষ্ঠানে মেলিন্ডা জানিয়েছিলেন, অ্যাপলের কোনও প্রোডাক্ট তাঁরা ব্যবহার করেন না। মেলিন্ডা বলেছিলেন, ‘‘আমরা তো উইন্ডোজ টেকনোলজিই ব্যবহার করতে পারি। আমাদের পরিবারের এত প্রাচুর্য এসেছে মাইক্রোসফটের কারণে। তা হলে কেন আমরা প্রতিযোগী কোনও সংস্থার খাতে বিনিয়োগ করতে যাবো?’’

তবে এই ধরনের পদক্ষেপে গেটস পরিবারই প্রথম নয়। ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসও জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তানেরা আইপ্যাড ব্যবহার করে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন