বস্টন বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড

দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার আলোচনা শেষে বস্টন ম্যারাথন বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত জোখার সারনায়েভকে মৃত্যুদণ্ড দিল মার্কিন আদালত। সাজা শোনার পর অবশ্য অনুশোচনার চিহ্নও দেখা যায়নি জোখারের চোখেমুখে। মার্কিন আদালতের এই রায় নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কারণ ম্যাসাচুসেটসে ১৯৪৭ সালে শেষ বারের মতো প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৪-তে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার একুশ বছর বয়সি এই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৫ ০২:৩৮
Share:

দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার আলোচনা শেষে বস্টন ম্যারাথন বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত জোখার সারনায়েভকে মৃত্যুদণ্ড দিল মার্কিন আদালত। সাজা শোনার পর অবশ্য অনুশোচনার চিহ্নও দেখা যায়নি জোখারের চোখেমুখে।

Advertisement

মার্কিন আদালতের এই রায় নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কারণ ম্যাসাচুসেটসে ১৯৪৭ সালে শেষ বারের মতো প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৪-তে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার একুশ বছর বয়সি এই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। জোখারের আইনজীবী দাবি করেন, প্রাণদণ্ড না দিয়ে কলোরাডো জেলে যাবজ্জীবন দেওয়া হোক তাঁর মক্কেলকে।

তবে সারনায়েভের এই সাজা শুনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি বস্টন বিস্ফোরণে স্বজনহারারা। ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল বস্টন ম্যারাথন চলাকালীন ওই বিস্ফোরণে নিহত হন তিন জন। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২৬০ জন। পাশাপাশি, ঘটনার সময় এক পুলিশকর্মীকে গুলি করে মেরেছিল জোখার। বিস্ফোরণে জোখারের দাদা, তামেরলান ছিল প্রধান দোষী। তবে ওই ঘটনায় তামেরলানের সঙ্গে জোখারকেও সমান দোষী বলে রায় দেয় আদালত। চেচেন বংশোদ্ভূত ওই দুই ভাই ইসলামি মৌলবাদে বিশ্বাসী। ২০০২ সালে উদ্বাস্তু হিসেবে আমেরিকায় এসেছিল তারা। বিস্ফোরণের পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় তামেরলান। আর আজ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল জোখারকে। আদালতের রায়ে স্বাভাবিক কারণেই স্বস্তিতে বস্টন বিস্ফোরণে স্বজনহারারা। জোখারের অবশ্য বিকার নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement