শহিদুলের মুক্তি চেয়ে হাসিনাকে আর্জি বোনঝির

বিরোধীদের চাপের মুখে বাদল অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ‘পরিণত কূটনীতি’র সাহায্যে ডোকলাম সঙ্কটের নিরসন হয়েছে। এখন কোনও সমস্যা নেই। 

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫৫
Share:

টিউলিপ সিদ্দিক

বেশ কিছু দিন ধরেই চুপ ছিলেন তিনি। আর তা নিয়ে বিতর্কও হচ্ছিল। শেষমেশ বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন ব্রিটেনের লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনঝি হন তিনি। গত কাল জানা গিয়েছে, শহিদুলের মুক্তির জন্য টিউলিপ তাঁর মাসির সঙ্গে কথা বলেছেন।

Advertisement

শহিদুলের তোলা ছবির প্রদর্শনী প্রায়শই হয় লন্ডনে। টিউলিপ বলেছেন, ‘‘শহিদুলের গ্রেফতারি অত্যন্ত পীড়াদায়ক। দ্রুত এই পর্ব শেষ হোক।’’ হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্নের এমপি টিউলিপ বহু দিন ধরেই ব্রিটিশ নাগরিক নাজ়েনিন আনসারির মুক্তির জন্য সরব। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে তেহরানে গিয়েছিলেন নাজ়েনিন। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর থেকে ছ’মাস ধরে তিনি জেলবন্দি। চার বছরের মেয়ের মুখটাও দেখতে পাননি।

এই নাজ়েনিনের মুক্তির কথা টিউলিপের মুখে শোনা গেলেও শহিদুলকে নিয়ে তাঁর নীরবতায় দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়। অনেকে বলতে শুরু করেন, আন্তর্জাতিক স্তরে শহিদুলের মুক্তির দাবি উঠলেও সংশ্লিষ্ট এমপি-র নিজের মাসির নাম এই ঘটনায় জড়ানোয় উনি এ ব্যাপারে চুপ করে আছেন। বিতর্ক বাড়ছে দেখে গত কাল শেষ পর্যন্ত মুখ খোলেন টিউলিপ। বলেন, ‘‘নিজের দেশের নাগরিকদের বিচারে বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে চলা। আশা করি যে দেশ আমাদের এত ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তাদের এই বার্তা স্পষ্ট ভাবে দেবে বিদেশ দফতর।’’

Advertisement

টিউলিপের আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার এমপি রোশেনারা আলি ওই চিত্রশিল্পীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন। বাংলাদেশে নিরাপদ স়ড়কের দাবিতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের নিয়ে ফেসবুক-টুইটার-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে ৫ অগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন